শেরপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে ইফতারের পর সংঘর্ষ আহত ২০

ছবি-প্রতিনিধি

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গর্ভবতী নারীসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বাড়ীঘর ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ৮ জনকে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের চকমুকুন্দ গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা আহতরা হলেন মির আহমেদ (১৮), সাইফুল ইসলাম (৫০), নায়েব আলী (৬০), জিয়া হাসান (৩১), অমেলা বেগম (৪৫), আবদুল মসজিদ (৪২), বেগম আকতার (৪৫), শাহালম ইসলাম (৩৬)। তারা সকলেই উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের চকমুকুন্দ গ্রামের বাসিন্দা। অন্যান্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। 
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ২ বছর আগে স্বীমানা ঘেসে বেড়া দেন। শুক্রবার দুপুরে এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ হয় । এ  নিয়ে আসাদুল অন্যপক্ষকে গালিগালাজ করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইফতারের পর দুই পক্ষই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। 
আহত নায়েব আলীর স্ত্রী কমলা বেগম (৪৫) বলেন, ‘সন্ধ্যার সময় আসাদুলের নেতৃত্বে তার পরিবারের লোকজন আমাদের বাড়িতে এসে হামলা করে। আমার স্বামী তাকে অনেক অনুরোধ করে। কিন্তু কোন তোয়াক্কা না করেই চাইনিজ কুড়াল দিয়ে স্বামীকে আঘাত করে আহত করে। তার হাতে ৮টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। এ সময় সঙ্গে বহিরাগত কিছু লোকজনও ছিল।’
তবে হামলার কথা অস্বীকার করেছেন আসাদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘জিয়ার নেতৃত্বে ২০-২৫ জন লোক আমাদের বাসায় হামলা করেছে। এতে আমার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও ১১ বছর বয়সী মেয়ে আহত হয়েছে। প্রতিপক্ষ আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ভাঙচুর করেছে।  তাদের সঙ্গে আমাদের পূর্ব থেকেই জায়গা নিয়ে বিরোধ ছিল। তার জের ধরেই আজকে হামলা করেছে।’
এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খন্দকার বলেন, ‘দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা জেনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিজ্ঞাপন