শেরপুরের মহাসড়ক এখন মরণ ফাঁদ

বাস চালকের বুদ্ধিতে বেঁবে গেল ২০ জন যাত্রিসহ বেশ কয়েটি প্রাণ

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদার বগুড়ার শেরপুর উপজেলা। সম্প্রতি ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক ছয়লেনে উন্নতিকরণ প্রকল্প বাস্তবায়নের শেষের পথে। অথচ এই উপজেলার শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নেই রাস্তা পারাপারের ফুটওভার ব্রিজ বা ফ্লাইওভার। যার ফলে মহাসড়ক এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। 
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৯টায় শেরুয়া বটতলা বাসের ধাক্কায় ট্রাক উল্টে যায়। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আহত হয়েছে ৩ জন। আহতরা হলেন বাসের ড্রাইবার জাহাঙ্গীর আলম, হেলপার লিটন, ট্রাক ড্রাইভার। 
বাস চালক জাহাঙ্গীর আলম ও হেলপার লিটন জানান, ঢাকা থেকে ২০জন যাত্রী নিয়ে বগুড়া চারমাথার দিকে যাচ্ছিল বাসটি। এ সময় উপজেলার কৃষ্ণপুর এলাকায় পৌছালে বাসের ব্রেক ফেল করে ধড়মোকাম এলাকায় একটি ট্রাকে প্রথমে ধাক্কা দেয়। বাস নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে এবং যাত্রিদের প্রাণ রক্ষার্থে বাসের পেছনে যেতে বলে চালক। বাস নিয়ন্ত্রনে আনতে বাসটি প্রথমে শেরুয়া বটতালা রাস্তার মাধ্যের আইল্যান্ডের সঙ্গে ধাক্কা দিলে নিয়ন্ত্রনে আনতে না পেরে ধান বোঝাই ট্রাকে ধাক্কা দেয় এতে ট্রাকটি উল্টে গিয়ে বাস নিয়ন্ত্রনে আসে। এ ঘটনায় ড্রাইভার ও হেলপার এবং ট্রাক ড্রাইভার আহত হয়। তবে বাসের ড্রাইভার জাহাঙ্গীর ও হেলপার লিটন শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি আছে।   
স্থানীয়রা দোকানদার ইয়াকুব জানান, বিকট শব্দ পেয়ে রাস্তায় এসে দেখি বাসের মধ্যে থেকে যাত্রি বের হয়ে যাচ্ছে। এবং ধান বোঝায় ট্রাকটি উল্টে আছে। তখন যাত্রিদের থেকে জানতে পারি বাসের ব্রেক ফেল করেছিল। আর চালকের বুদ্ধির কারনে এই বাসের ২০ জন যাত্রিসহ বেশ কয়েটি প্রাণ বেঁচে গেল আজ। কারণ বাসটি যদি ট্রাকে ধাক্কা না দিত তাহলে ধুটমোড়, বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় পৌছালে রাস্তা পাড়াপাড় লোকজন বা অটোনিয়ে যাওয়া যাত্রীকে ধাক্কা দিলে অনেকের প্রাণ চলে যেত। 
এছাড়াও শেরপুর উপজেলায় প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। মহাসড়ক এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। শেরপুর উপজেলাবাসীর প্রাণের দাবি ফ্লাইওভার-আন্ডারপাস। শেরপুর ফায়ার সার্ভিস সুত্র মতে গত ১ মাসে এই উপজেলায় ১৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। 
এ বিষয়ে শেরপুর হাইওয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার উপ-পরিদর্শক মাসুদ জানান, বাস-ট্রাক দুটোয় আটক রয়েছে। রাস্তা প্রায় ১৫ মি: যান চলাচল বন্ধ ছিল। এখন স্বাভাবিক আছে।

বিজ্ঞাপন