ঠাকুরগাঁওয়ের সবজি যাবে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রে

ছবি- প্রতিনিধি

বাংলাদেশে উৎপাদিত সবজি কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছে জাপান ও যুক্তরাষ্টের ব্যবসায়ীরা। দেশ দুটির ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি দল ঠাকুরগাঁওয়ের আবাদি বিভিন্ন সবজির মাঠ পরিদর্শন করেছেন। তাঁরা গাজর, মিষ্টি কুমড়া ও কাঁচা মরিচ বাংলাদেশ থেকে নিতে চান।
বুধবার (১ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন সবজির মাঠ পরিদর্শন করেন ব্যবসায়ীরা। মাঠ পরিদর্শনের সময় ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম, সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণ রায় উপস্থিত ছিলেন। 
জাপানের শৌ-ই ফুড প্রাইভেট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর আকিরা মাস্টসুমোতো বলেন, ‘বাংলাদেশের নাগরিক খুব বন্ধুসুলভ, সহজ সরল। আমরা আশা করি বাংলাদেশ থেকে সবজি রফতানি করে সফলভাবে ব্যবসা করতে পারবো।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মূলত গাজর, কাঁচা মরিচ, মিষ্টি কুমড়া, লম্বা জাতীয় পেয়াজ বাংলাদেশ থেকে ক্রয় করে জাপানে ওযুক্তরাষ্টেনিব। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম  বলেন, ‘আমাদের সৌভাগ্য যে, জাপান ও যুক্তরাষ্টের মতো জায়গায়  আমাদের দেশের উৎপাদিত সবজি নিয়ে যাওয়ার জন্য দুই দেশের ৪ জন বিদেশি নাগরিক ঠাকুরগাঁওয়ে এসেছেন। তারা আমাদের কৃষকদের কাছ থেকে গাজর, মিষ্টি কুমড়া ও মরিচ নিতে চান। তাই আমরা তাদের সরাসরি ফসলের মাঠগুলো দেখিয়েছি।
এছাড়াও আমাদের কৃষকরা উৎপাদিত পণ্যের দাম নিয়ে অনিশ্চয়তায়  থাকেন। তারা যে পণ্যের দাম কম পায় সেই পণ্যের উৎপাদন কমিয়ে দেয়। আর বেশি দাম পাওয়া পণ্যের উৎপাদনের দিকে বেশি ঝুঁকেন। আমাদের উৎপাদিত সবজি বা পণ্য যদি জাপান ওযুক্তরাষ্টে ফতানি হয় তাহলে কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবেন ও উৎপাদিত পণ্যের ভালো দাম পাবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঠাকুরগাঁও জেলায় প্রায় ১ হাজার ৬’শ হেক্টর জমিতে মরিচ, মিষ্টি কুমড়া চাষ হয় । এছাড়া ৩৫০ হেক্টর জমিতে দাম ও বাজারজাতের অনিশ্চয়তার কারণে গাজর স্বল্প পরিমাণে চাষ করেন কৃষকরা। আজকে বিদেশিরা যারা এসেছেন সবজি কিনতে তারা যদি আমাদের কৃষকদের কাছে থেকে গাজর ক্রয় করেন তাহলে গাজরের আবাদ অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে এবং আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কৃষকদের টেকনিক্যাল ও উপকরণ সহায়তা নিশ্চিত করবো।’ এতে অনেকাংশে কৃষকরা উপকৃত হবেন বলে মনে করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন