মনিরুজ্জামান মনি তানোরঃরাজশাহীর তানোরে রেকর্ড পরিমান জমিতে তিলের চাষ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ। অল্প খরচে অধিক লাভের তিল চাষে উপজেলার কৃষকরা তেমন ভাবে আগ্রহ পোষন করতেন না। কিন্তু খরচ ও পরিশ্রম অনেক কম তিল চাষে। অতীতে ২-৩ বিঘা জমিতে করা হত তিল চাষ। কিন্তু কৃষি অফিসের তদারকিতে এবারে ২০ হেক্টর উচুঁ জমিতে হয়েছে তিলের চাষ। তবে আগামীতে এর পরিমান আরো বাড়বে বলে মনে করছেন কৃষি বিভাগ। উপজেলার বাঁধাইড়, মুন্ডুমালা ও কলমার কিছু এলাকায় চাষ হয়েছে। এতে করে চাষীরা ভালো ফলন পেলে আগামীতে তিল চাষে বিপ্লব ঘটতে পারে বলে মনে করছেন কৃষি বিভাগ। ফলে কৃষি অফিসারের বিভিন্ন রকম তদারকিতে সরিষা চাষ হয়েছিল রেকর্ড পরিমান জমিতে এবং বাম্পার ফলন ও দাম পেয়েছিল চাষীরা।
কৃষকরা জানান, জীবনে কখনো তিলের চাষাবাদ করিনি। কিন্তু কৃষি অফিসারের কথায় আমরা তিল চাষ করেছি এবং গাছও ভালো আছে। দেশে ও বিদেশে তিলের চাহিদা প্রচুর। শুধু মাত্র একটি চাষ দিয়েই তীল বপন করা হয়েছে। সার কীটনাশক বা আগাঝা বলতে কিছুই নেই। গাছের চেহারা দেখে মনে হচ্ছে ফলন ভালো পাওয়া যাবে। বর্তমান বাজারে ১ মন তীল ৪-৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক বিঘা জমিতে নিম্মে ৪ মন তিল হলে ৪ হাজার টাকা মন হলে ১৬ হাজার টাকা দাম আসে। তবে বর্তমান বাজারে সাধারন জাতের তিল বিক্রি হচ্ছে প্রকার ভেদে ১০০-১৫০ টাকা কেজি ধরে। কিন্তু গবেষনার তিলের দাম অধিক।
কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, গবেষনা সংস্থা ১৬ হেক্টর জমিতে যে পরিমান তিল লাগবে সেটা দিয়েছে ও বাকি চার হেক্টর জমিতে কৃষি অফিস থেকে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, অতীতে ২-৩ বিঘা জমিতে তিলের চাষ হত। কিন্তু এবার ২০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে যা রেকর্ড। দুই ধরনের তীল চাষ হয়েছে তার মধ্যে বিনা তিল চার ও বারি তিল চার জাতের চাষ হয়েছে। তিনি আরো বলেন, তীল চাষে খরচ একেবারেই কম। সার একবার ও কীটনাশক স্প্রে একবার সব মিলে সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকা খরচ হয়। বিঘায় নিম্মে ৩ মন তিলের ফলন হলে ৪ হাজার টাকা মন ধরা হলে ১২ হাজার টাকা আসে। হিসেব করলে সাড়ে ৯ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা লাভ হবে বিঘাপ্রতি এবং ৮৫ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যাবে।
বিল কুমারী বিলে বোরো ধান কাটার পর পতিত অবস্থায় আছে এসব নিয়ে কোন পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ধানতৈড় গ্রামে নিচে সবজি চাষ হয়, পড়ে থাকা জমিতে কোন কৃষক সবজি চাষ করতে চাইলে স্বল্প মেয়াদের সবজি বীজ সহ যাবতীয় সহযোগী তা করা হবে।