সুনামগঞ্জে মুরগির খামার দিয়ে বেকার যুবক এখন স্বাবলম্বী

ছবি- প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জে মুরগির খামার দিয়ে বেকার যুবক জিল্লুর রহমান এখন স্বাবলম্বী। ওই যুবক তার খামারে দেশি-বিদেশী বিভিন্ন জাতের মুরগি উৎপাদন করে এবং স্বল্প মূল্যে তা বিক্রি করে প্রতিবছর আয় করেন প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা। 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের বারহাল গ্রামের বাসিন্দা যুবক জিল্লুর রহমান। ওই গ্রাম সংলগ্ন ভাঙ্গারখাল নদীর তীরে প্রায় ১বছর আগে নিজ উদ্যোগে বসতবাড়ির পাশের পরিত্যক্ত ঘরের মাঝে একটি খামার তৈরি করে। এজন্য ব্যয় করতে হয় ৫০হাজার টাকা। বর্তমানে তার খামারে মুরগির পরিমান প্রায় ৫শতাধিক।
এসব মুরগি প্রতিদিন যে ডিম দেয় তার মধ্য থেকে কিছু ডিম বাজারে বিক্রি করা হয়। কিছু ডিম দিয়ে বাচ্চা ফুঠানো হয়। এছাড়াও নিজের পরিবারে চাহিদাও পূরণ করে খামারের এই ডিম। যুবক জিল্লুর রহমানের খামারের একটি মুরগির ওজন ৫ থেকে ৮ কেজি পর্যন্ত হয়।
মুরগির বাচ্চা ফোটানো থেকে শুরু করে বড় হওয়া পর্যন্ত খুব যতœ সহকারে একটি মুরগিকে লালন পালন করে। তাছাড়া স্বল্প মূল্যে এই খামার থেকে ডিম, মুরগি ও বাচ্ছা পাওয়া যায়। তাই দিনদিন এই খামারের মুরগির চাহিদা বেড়েই চলেছে। কিন্তু সবার চাহিদা পুরণ করতে গিয়ে খামার মালিককে হিমশিত খেতে হচ্ছে বলে জানা গেছে।   
এব্যাপারে সফল খামার মালিক জিল্লুর রহমান বলেন- ইউটিউবে মুরগির খামারের বিভিন্ন প্রতিবেদন দেখে আমার মনেও মুরগির খামার তৈরি করার উৎসাহ জাগে। বর্তমানে এই খামারের মাধ্যমে আমার সংসার চলে। তার আগে মুদির দোকান ছিল। সেই ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে এই খামার নির্মাণ করি। এখন আমি লাভবান।
তাই কোন বেকার যুবক যদি নিজেকে স্বাবলম্বী করার জন্য আমার সহযোগীতা চায় তাহলে আমি তাকে এব্যাপারে অবশ্যই সহযোগীতা করব।
 

বিজ্ঞাপন