গাইবান্ধার সাঘাটায়

স্কুলছাত্রী সুমনা থেকে ছেলেতে রূপান্তর

গাইবান্ধার সাঘাটায় ১০ম শ্রেণির ছাত্রী সুমনা হঠাৎ করে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে। শনিবার (২৭ মে) দুপুরে উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের ঝাড়াবর্ষা গ্রামে বাড়িতে কয়েকশ’ উৎসুক মানুষের ভিড় ছিল। সবাই কৌতূহল নিয়ে সুমনাকে দেখছে। সুমানার দাদি দৌলত নেছা জানান, বেশ কয়েকদিন আগেই তার শারীরিক পরিবর্তনের কথা গোপনে সুমনা তাকে জানায়। এ জন্য গত মঙ্গলবার সে স্কুলে যায়নি। সুমনার মা লাভলী বেগম জানান, তার ছেলে সন্তান নেই। তিন সন্তানই মেয়ে।  এদের মধ্যে সুমনা বড়। সে পার্শ্ববর্তী ঝাড়াবর্ষা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণিতে পড়ে। দু’দিন আগে তিনি সুমনার দাদির কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পারেন।
সুমনা তার দাদিকে প্রথমে বিষয়টি জানায়। শনিবার (২৭ মে) সকাল থেকে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে মানুষের মুখে মুখে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকেই দিনরাত মানুষ ভিড় করছে তাকে নতুন ভাবে দেখার জন্য। এখন তার শারীরিক গঠন পুরুষের মতো হয়ে গেলেও তার মাথার চুল এবং পরনের পোশাক পরিবর্তন করা হয়নি। সুমনার বাবা ছাইদুর রহমান বলেন, ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়ার পর এখনো সুমনার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়নি।
তার গৃহিণী মা জানান, ২ দিন আগে সুমনা তাকে ঘটনাটি বললে তিনি বিশ্বাস করেননি। পরে তিনি সুমনার দাদির কাছে সবকিছু শুনে বিশ্বাস করেন। তিনি বলেন, তার ছেলে সন্তান নেই। আল্লাহ তাকে মেয়ে থেকে ছেলে বানিয়ে দিয়েছে। আগে তাদের ৩ মেয়ে ছিল। এখন ১ ছেলে ২ মেয়ে হওয়ায় তারা খুশি।
এ বিষয়ে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আরিফুজ্জামান বলেন, আমাদের দেশে মাঝে-মধ্যেই ছেলে থেকে মেয়ে আবার মেয়ে থেকে ছেলে রূপান্তরিত হওয়ার ঘটনা ঘটছে। এটা সাধারণত হরমোন পরিবর্তনের কারণে ঘটে। তবে এই সুমনার ক্ষেত্রে কি ধরনের পরিবর্তন ঘটেছে এবং কেন ঘটেছে তা বাস্তবে না জেনে বলা যাবে না। হাসপাতালে এলে দেখে এ বিষয়ে জানা যাবে।

বিজ্ঞাপন