কামারগাঁ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে

রোগী আছে ডাক্তার নাই

রোগীরা বসে আছে সকাল থেকে,  মুল গেট খোলা,গেটেই ডাক্তারের জন্য গালে হাত দিয়ে উপেক্ষা করছেন কয়েকজন মহিলা, ভিতরে  আরো কিছু রোগী বসে আছেন, অনেকে ছটপট করছেন, মুট গেল খোলা থাকলেও প্রতিটি কক্ষে তালা ঝুলছে, যে কক্ষে বসে ডাক্তার চিকিৎসা দিবেন সেটাতেও তালা ঝুলছে। অবশ্য মুল গেটের পর ফাকা স্থানে ডাক্তারের মটরসাইকেল রয়েছে। তখন দুপুর প্রায় ১২ টা বেজেঝে। এমন অলৌকিক চিকিৎসা সেবা চলছে রাজশাহীর তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। ডাক্তার বাইক রেখে বাজারে আড্ডা দিচ্ছেন। কিছুক্ষন পর আসেন তিনি। এসেই চিকিৎসার ঘর খুলে শুরু করেন রোগী দেখা। এতে করে চিকিৎসা নিতে আসা দরিদ্র জনসাধারণের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে, সেই সাথে ওষুধ না  উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
 গত বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, কামারগাঁ বাজারের উত্তরে ও ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তার পূর্ব দিকে ইউনিয়ন উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র। নিয়োমিত চিকিৎসা ও খোলা হয়না কেন্দ্রটি এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। সকাল ১১ টা ২০ মিনিটের দিকে স্বস্থ্য কেন্দ্রের গেটে কয়েকজন বয়োজ্যেষ্ঠ মহিলা পুরুষ বসে আছেন। জানতে চাওয়া হয় কেন বসে আছেন, তারা জানান সকালে এসে দেখি গেট বন্ধ। কয়েক ঘন্টা উপেক্ষার পর ডাক্তার আসেন। তিনি এসেই মুল গেট খুলে মটরসাইকেল রেখে বাজারে গেছেন। কখন আসবে কেউ জানেনা। শুধু এইদিন না প্রতি নিয়োতই ডাক্তার চিকিৎসা না দিয়ে আড্ডা মারতে চলে যান। আমরা কিছু বললেও খারাপ আচরন করেন।
দুপুর প্রায় ১২ টার দিকে চিকিৎসক সেকমো কামরুজ্জামান আসেন। এসে রোগী দেখা শুরু করেন। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, এত দেরিতে কেন, তিনি জানান, কিছু রোগী দেখার পর ওয়াস রুমে গিয়েছিলাম। প্রতিটি ঘরে তালা ঝুলানো কোথায় ওয়াস করতে গিয়েছিলেন প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন রোগী দেখছি কথা বলতে পারব না বলে দাম্ভিকতা দেখান তিনি।
কয়েকজন বয়োজ্যেষ্ঠ মহিলারা জানান, তিনি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসার পর থেকে সময়মত আসেন না, রোগীদের সাথে অসৌজন্য মুলুক আচরন করেন। আগের চিকিৎসক সময়মত আসতেন চিকিৎসাও ভালো দিতেন এবং ওষুধও পাওয়া যেত। এখন আর ওষুধ পাওয়া যায় না। ওষুধের কথা বলা হলেই ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন সরকার ওষুধ না দিলে আমি কি পকেট থেকে কিনে দিব।
সুত্রে জানা যায়, প্রতিটি উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পর্যাপ্ত ওষুধ বরাদ্দ দেয় সরকার। তাহলে এসব ওষুধ যায় কোথায় এমন প্রশ্ন স্থানীয়দের।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচএ) বার্নাবাস হাসদার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে বিষয়গুলো সম্পর্কে অবহিত করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সকাল ১১ টা ৫০ মিনিটেও সেকমো আসেনি এবিষয়ে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন, হয়তো কোন সমস্যাদি হতে পারে বলে এড়িয়ে যান তিনি।
বিজ্ঞাপন