রাজ্জাকের জাদুকরী বোলিংয়ে শিরোপা এশিয়ার

ছবি-সংগৃহীত

ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দায়িত্ব নিয়েছেন জাতীয় দলের নির্বাচকের। বয়স ৪০ পেরিয়েছে সেই কবে। তবুও তার স্পিন ঘূর্ণি এখনও থামেনি।  সোমবার (২০ মার্চ) আরও একবার সেই প্রমাণ রাখলেন আব্দুর রাজ্জাক। লেজেন্ডস লিগের ফাইনালে জাদুকরী স্পিনে ওয়ার্ল্ড জায়ান্টসকে হারিয়ে শিরোপা জিতিয়েছে তার দল এশিয়া লায়ন্সক।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ওয়ার্ল্ড জায়ান্টস ৪ উইকেটে ১৪৭ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে এশিয়া লায়ন্স ১৬.১ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। ২৩ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জেতে এশিয়ান লায়ন্স।
ওয়াল্ড জায়ান্টসের হয়ে মর্নি ভ্যান উইককে সঙ্গে নিয়ে ওপেন করতে নামেন লেন্ডসল সিমন্স। এশিয়ার হয়ে বোলিং শুরু করেন আব্দুর রাজ্জাক। এই স্পিনারের করা প্রথম ওভার থেকে ৩ রান সংগ্রহ করতে পারে ওয়ার্ল্ড জায়ান্টস। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আবার বোলিংয়ে ফিরে উইকেটের দেখা পান রাজ্জাক। তার বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন মর্নি ভ্যান উইক। ৭ বল খেলেও আরনের খাতা খুলতে পারেননি মর্নি। ওয়ার্ল্ড জায়ান্টস ৯ রানে ১ উইকেট হারায়।
তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে নামেন শেন ওয়াটসন। এই ব্যাটারকে দুই বলের বেশি উইকেটে থাকতে দেননি রাজ্জাক। একই ওভাররের পঞ্চম বলেই লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে ওয়াটসনকে ফিরিয়েছেন এই বাংলাদেশি স্পিনার। আর তাতে ৯ রানে ২ উইকেট হারায় জায়ান্টসরা।
নবম ওভারে নিজের চতুর্থ ওভার করতে আসেন রাজ্জাক। যেখানে মাত্র ২ রান খরচ করেন তিনি। তাতে ৯ ওভার শেষে ওয়ার্ল্ড জায়ান্টসের স্কোর দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৪৪ রান। রাজ্জাক তার কোটার ৪ ওভার বোলিং করে ১৪ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট শিকার করে হন ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়।
রাজ্জাক ফাইনাল সেরা হলেও টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন উপল থারাঙ্গা। ৬ ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে সব থেকে বেশি ২২১ রান সংগ্রহ করেছেন তিনি। যেখানে তিনটি হাফ-সেঞ্চুরি করছেন এই লঙ্কান।

বিজ্ঞাপন