রাজারহাটে পতিত জমিতে জলঢূপ আনারস চাষ

ছবিঃ চাষকৃত আনারস
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে একটি সুপারির বাগানে বাণিজ্যকভাবে জলঢুপ জাতের আনারস চাষ করা হয়েছে। আগাম জাতের এসব আনারস স্বাদেও অনন্য। অন্যান্য ফসলের চেয়ে জলঢূপ আনারস চাষে খুব লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা আনারস চাষে দিনদিন আগ্রহী হয়ে উঠছে।
 
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজারহাট উপজেলার সদর ইউপির মেকুটারী গ্রামে সাজ্জাদ হোসেন নয়ন এর
একটি সুপারির বাগানে থোকা থোকা গাঢ় সবুজের পাখনায় ডানা মেলছে কাঁচাপাকা আনারস। এখানে জলঢুপ জাতের আনারসই  চাষ করা হয়েছে। সুপারির পাশাপাশি বাগানে শোভা পাচ্ছে আনারস আর পাল্টে গেছে অনেকটা বাগানের চিত্র। এ বছর আবহাওয়া অনকূলে থাকায় আনারসের বাম্পার ফলন হয়েছে। 
 
আনারস চাষী সাজ্জাদ হোসেন নয়ন বলেন- কয়েক বছর আগেও এ সুপারির বাগান ছিল আগাছায় ভরা। সুপারি ছাড়া আর কোনো ফসল ফলানো যেত না, এক প্রকার অকেজো ছিল এসব সুপারি বাগানের জমি।পরে স্থানীয় কৃষক ও উপজেলা কৃষি অফিসারের পরামর্শে দুই বছর আগে এ সুপারির বাগানে মাত্র ৩ বিঘা জমিতে প্রায় ১ হাজার জলঢুপ জাতের আনারস চাষ শুরু করেছি। এ বছর প্রায় ৫০ হাজার টাকার আনারস বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি। এ ছাড়াও বাগান থেকে প্রতিনিয়ত আনারসের প্রত্যেকটি চারা ৮-১০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।  জলঢুপ আনারস বেশ আগেই পাকা শুরু করে। ফলে বাজারে দামও ভালো পাওয়া যায়। এছাড়াও খুব কম খরচে এ জাতের আনারস চাষ করা যায় এবং তেমন কোন রোগবালাই নেই। 
 
 এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা কৃষি অফিসার বলেন পতিত জমিতে আনারস চাষ করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে এক হতে দুই  বছরের মধ্যে এ উপজেলায় অনেক পতিত পড়ে থাকা জমি আনারস চাষের আওতায় নিয়ে আসা হবে। আনারস চাষী কৃষকেরা ঋণ চাইলে তাঁদের জমির ওপর ভিত্তি করে সরকারের ৪ শতাংশ সুদে ঋণের সুবিধা দেওয়া হবে
বিজ্ঞাপন