পুরো ম্যাচে ইন্টার মিলানের সঙ্গে পায়ে পায়ে লড়াই করেছে এসি মিলান। সিংহভাগ বল দখলে রেখে ইন্টারের প্রায় সমান আক্রমণ করেছে রোজেনেরিরা। তবে শুরুর ১১ মিনিটেই এসি মিলানকে লণ্ডভণ্ড করে দেয় ইন্টার। ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর আর কামব্যাক করতে পারেনি স্টেফানো পিওলির শিষ্যরা। এসি মিলান কোচের বিশ্বাস, দ্বিতীয় লেগে প্রত্যাবর্তন করবে তার দল।
চ্যাম্পিয়নস লীগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে মিলান ডার্বি শেষে এসি মিলান কোচ বলেন, ‘বাস্তবতা হলো, প্রথমার্ধে ইন্টার ভালো করেছে। দুটি গোল দিয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা উন্নতি করি, তবে জাল খুঁজে পেতে ব্যর্থ হই। দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের সুযোগ ছিল।’
আগামী ১৬ই মে সান সিরোতে দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হবে এসি মিলান ও ইন্টার মিলান। পিওলি বলেন, ‘দ্বিতীয় লেগে আমাদের আরও মানসম্পন্ন ফুটবল খেলতে হবে। আরও আক্রমণাত্মক হতে হবে।
আজকের থেকে ভিন্ন পারফরম্যান্স দেখাতে হবে। এই হারে স্বাভাবিকভাবে ছেলেরা হতাশ। তবে দ্বিতীয় লেগে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে আশাবাদী তারা।’
এসি মিলান কোচ পিওলি বলেন, ‘হ্যাঁ, নিঃসন্দেহে আমরা হতাশ। যেভাবে আমরা খেলা শুরু করি, দুই গোল খেয়ে... । এটা কঠিন। তবে কেবল প্রথম লেগ শেষ হলো। আমরা মাথা নত করতে পারি না।’
চোটের কারণে প্রথম লেগে ছিলেন না এসি মিলানের গুরুত্বপূর্ণ তারকা রাফায়েল লেয়াও। পিওলির বিশ্বাস দ্বিতীয় লেগে পর্তুগিজ তারকাকে পাবেন দলে। এসি মিলান কোচ বলেন, ‘আজ তার খেলার অবস্থা ছিল না। হাতে আরও (দ্বিতীয় লেগের) ছয় দিন বাকি। আশা করি সে সুস্থ হয়ে উঠবে।’
ম্যাচশেষে ইন্টার মিলান কোচ সিমন ইনজাঘি বলেন, ‘প্রথমার্ধটা অসাধারণ ছিল। খেলোয়াড়দের প্রচেষ্টা অসামান্য ছিল।’
সবমিলিয়ে মোট ৩ বার চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনাল খেলেছে ইন্টার মিলান। সবশেষ ২০১০ আসরে প্রতিযোগিতাটির ফাইনাল খেলেছিল নেরাজ্জুরিরা। কোচ ইনজাঘির ভাষ্য, স্বপ্নপূরণের চেয়ে মাত্র এক জয় দূরে তারা। তিনি বলেন, ‘আজকের রাত নিয়ে অনেক সন্তুষ্ট আমি। স্বপ্ন ছোঁয়ার চেয়ে মাত্র এক ধাপ দূরে আমরা।’