নন্দীগ্রামে প্রতিমা ভাংচুরের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক আটক

বগুড়ার নন্দীগ্রামে শ্মশান কালি মন্দিরের দরজা ভেঙ্গে প্রতিমা ভাংচুরের অভিযোগে রেজাউল করিম (৩৫) নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে নন্দীগ্রাম থানার হাটকড়ই গ্রামে বাড়ি থেকে তাকে পুলিশ আটক করে।
রেজাউল করিম ওই গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে এবং সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার রান্ধুনিবাড়ি এলাকায় একটি কওমি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। তিনি ঈদের ছুটিতে কয়েক দিন আগে বাড়ি আসেন।
¯’ানীয়রা জানান, সোমবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে রেজাউল করিম গ্রামের একটি কালি মন্দিরের দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করে এবং হিন্দু  সম্প্রদায়ের লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
হাটকড়ই শ্মশানের ত্বত্ত্বাবধায়ক প্রশান্ত চন্দ্র জানান, তিনি মঙ্গলবার সকালে শ্মশানে কালিমন্দিরে বৈদ্যুতিক বাতি নিভাতে গিয়ে দেখেন মন্দিরের দরজা ভাঙ্গা এবং ভিতরে রাখা কালি ও মহাদেবের মুর্তি ভেঙ্গে উল্টে রাখা হয়েছে। প্রশান্ত বিষয়টি গ্রামের লোকজনকে জানালে তারা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ রেজাউলকে বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পারিবারিক সুত্র রেজাউল করিমকে মানসিক রোগী হিসেবে দাবী করেছেন।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুর রশিদ ঘটনা¯’ল পরিদর্শনের পর বলেন, গ্রামবাসীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী আটক রেজাউল শ্মশান মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুরের সাথে জড়িত বলে মনে করা হ”েছ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনগত ব্যব¯’া গ্রহন করা হবে।

বিজ্ঞাপন