নন্দীগ্রামে কালবৈশাখী ঝড়ে প্রতিবন্ধী স্কুলের ক্ষয়ক্ষতি

বগুড়ার নন্দীগ্রামে ভোররাতে দুই ঘন্টার কালবৈশাখী ঝড়ে একটি প্রতিবন্ধী স্কুল ও গাছ ভেঙে পড়ে এক কৃষকের বসতবাড়ি লন্ডভন্ড হয়েছে বলে জানা গেছে। উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের ধুন্দার আলোর দিশারী বহুমুখী প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ৭টি টিনসেড শ্রেণি কক্ষের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ওই ঝড়ে ধুন্দার পূর্বপাড়া পানাছিটা এলাকার কৃষক শাহাদত হোসেনের বসতবাড়ির ওপর গাছ ভেঙে পড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়। 
গতকাল শনিবার প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রধান শিক্ষক হাসান আলী জানান, গত বৃহস্পতিবার ভোরে আকস্মিক দুই ঘন্টার ঝড়ে প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কক্ষগুলোর টিনের ছাউনি উড়ে গেছে, ইলেকট্রিক-ফ্যান, শিক্ষা উপকরণ ও আসবাবপত্র নষ্ট হয়েছে। এতে প্রায় ৫লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঘরগুলো মেরামতের জন্য আর্থিক অনুদানের ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত আবেদন করেছেন। কালবৈশাখী ঝড়ে প্রতিষ্ঠানটির ক্ষয়ক্ষতি হলেও এখন পর্যন্ত কোনো জনপ্রতিনিধি বা উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেননি। আর্থিক অনুদানের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে লিখিত আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। 
জানা গেছে, গত ২০১৭ সালে উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের ধুন্দার-মারিয়া রাস্তার পাশে আলোর দিশারী বহুমুখী প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। বর্তমানে সেখানে প্রতিবন্ধী, অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের ২৫০জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াতের জন্য ৪টি ভ্যান রয়েছে। মা ও শিশু শ্রেণি থেকে বৃত্তিমূলক শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস করানো হয়। পাঠদান করান ১৮জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। 
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিফা নুসরাত বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা তার জানা নেই। যদি ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সমাজ সেবা অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হবে। 
 

বিজ্ঞাপন