মুশফিকের রেকর্ড সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের রেকর্ড সংগ্রহ

ফাইল ছবি

মাত্র ৬০ বল বাংলাদেশের দ্রুততম সেঞ্চুরি এখন মুশফিকের। 
শেষ ওভারে প্রথমবারের মতো যখন স্ট্রাইক প্রান মুশফিক, ৫৬ বলে তাঁর রান ৯১। সে বলে ডাবলসের পর গ্রাহাম হিউমকে রিভার্স স্কুপে চার মেরে সেঞ্চুরিকে এনেছিলেন এক শটের দূরত্বে। পরের বলে ওয়াইড লং অনে খেলে আবার ডাবলসে মুশফিক চলে যান ৯৯ রানে। শেষ বলে মিডউইকেটে খেলে সিঙ্গেল নিয়ে মুশফিক মেতেছেন উল্লাসে, যে উল্লাস রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরির। ৬০ বলেই সেঞ্চুরি পেলেন মুশফিক, বাংলাদেশের হয়ে যেটি এখন দ্রুততম। মুশফিক ভাঙলেন সাকিব আল হাসানের রেকর্ড, ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনি দুটি সেঞ্চুরি ছুঁয়েছিলেন ৬৩ বলে। 
৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তুলেছে ৩৪৯ রান। 
নতুন রেকর্ড
৩৩৯/৫*
আগের ম্যাচেই নিজেদের সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ড গড়েছিল বাংলাদেশ। ঠিক পরের ম্যাচেই ভাঙল সেটি। ১ ওভার বাকি থাকতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৩৯/৫, ওয়ানডেতে এখন এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ।
ফিফটি পেলেন না হৃদয়
প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেকে সেঞ্চুরি মিস করেছিলেন ৮ রানের জন্য। এবার প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রথম দুই ম্যাচেই ফিফটি মিস করলেন ১ রানের জন্য! তাওহিদ হৃদয়! মার্ক এডেয়ারের সিম-আপ ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়েছিলেন, তবে যতটা ভেবেছিলেন ততটা ওঠেনি বল। কট বিহাইন্ডের সিদ্ধান্ত রিভিউ করলেও হৃদয় নিজেও জানতেন, আউটই হয়েছেন তিনি। ফিফটি না পেলেও মুশফিকের সঙ্গে ৭৮ বলে ১২৮ রানের দুর্দান্ত এক জুটির অংশ থাকলেন হৃদয়।
সিলেটে মুশফিক-ঝড়
৪০ ওভার শেষেও বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ২৪১ রান। পরের ৫ ওভারে এলো ৬৬ রান। মাত্র ৬৩ বলেই ১০০ রানের জুটি হয়ে গেছে মুশফিক ও হৃদয়ের। সিলেটে বৃষ্টির দেখা না পাওয়া গেলেও মুশফিক তুলেছেন ঝড়, সঙ্গে আছেন হৃদয়। 
আরেকটি মাইলফলক
৭০০০
সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের পর তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডেতে ৭ হাজার রান পূর্ণ করলেন মুশফিক।
৩৩ বলে ফিফটি মুশফিকের
কাট করে চার। ফুলটসে ড্রাইভ করে কাভার দিয়ে চার। কাট করে ছক্কা। সিলেটে ঝড় তুলছেন মুশফিকুর রহিম। মার্ক এডেয়ারের ওপর চড়াও হয়েছেন, ওই ছক্কায় ৩৩ বলে ফিফটি পূর্ণ করে ফেলেছেন। আগের ম্যাচে ঝোড়ো ব্যাটিং করলেও ফিফটি পাননি, আজ সে আক্ষেপ মিটল তাঁর। মুশফিক আবারও বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন বড় সংগ্রহের দিকে, ৪৩ ওভার শেষেই স্বাগতিকদের স্কোর ২৭৮ রান।
মুশফিক-হৃদয়ে এগোচ্ছে বাংলাদেশ
সাকিব ও নাজমুল দ্রুত ফিরলেও বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন মুশফিকুর রহিম ও তাওহিদ হৃদয়। দুজনের জুটিতে এরই মধ্যে উঠেছে ৫১ রান, বাংলাদেশ ইনিংসে যেটি দ্বিতীয় ফিফটি জুটি। শেষ ৪ ওভারে ৩৯ রান তুলে শেষ পাওয়ারপ্লেতে ঢুকছে বাংলাদেশ, ৪০ ওভারে এখন ৪ উইকেটে ২৪১ রান স্বাগতিকদের।
দ্রুততম
৬৫
৬৫তম ইনিংসে ওয়ানডেতে ২ হাজার রান পূর্ণ করেছেন আজ লিটন দাস
বাংলাদেশের ২০০
৮ রানের মধ্যে সাকিব ও নাজমুল ফেরার পর রানের গতি কমে এসেছে বাংলাদেশের। ৩৬তম ওভারে ২০০ পেরিয়েছে তারা। 
৭৩ রানে আউট নাজমুল
লিটনের সেঞ্চুরি নাগালে ছিল, ছুড়ে এসেছিলেন উইকেট। একই কাজ করলেন নাজমুলও। গ্রাহাম হিউমের ক্রস সিমে করা ডাউন দা লেগের ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়ে কট বিহাইন্ড হয়েছেন এ বাঁহাতি, ৭৭ বলে ৭৩ রান করে আউট তিনি। ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটিকে তাই সেঞ্চুরিতে পরিণত করতে পারলেন না নাজমুল। ৮ রানের মধ্যে সাকিব ও নাজমুল নেই। 
ধৈর্য হারালেন সাকিব
আয়ারল্যান্ড হয়তো তেমন চাপ তৈরি করতে পারেনি, তবে সাকিব নিজের ধৈর্য রাখতে পারলেন না। গ্রাহাম হিউমকে যেভাবে টেনে খেলতে গেলেন, বলের লেংথ সে শটের পক্ষে ছিল না। ফল—খাড়া ওপরে উঠল ক্যাচ। শর্ট থার্ডম্যানে ভুল করেননি হ্যারি টেক্টর। ৩৯ রানেই থামল নাজমুলের সঙ্গে সাকিবের জুটি। ৩২তম ওভারের শেষ বলে তৃতীয় উইকেট হারাল বাংলাদেশ, রান ১৮২।
আবার ভুগছে আয়ারল্যান্ড
পাওয়ারপ্লেতে আমরা কিছু উইকেট নিয়েছিলাম, মাঝের ওভারে তারা ভালো জুটি গড়েছিল। ফলে সফল ডেথ ওভারের জন্য একটা ভিতও পেয়েছিল। আমরা সেটি বিবেচনায় আনছি, আগামীকাল প্রতিপক্ষের দারুণ কিছু খেলোয়াড়কে চাপে ফেলতে আমাদের দুই-একটি উদ্ভাবনী উপায় বের করতে হবে উইকেট নিতে গেলে।
দ্বিতীয় ম্যাচের আগের দিন আয়ারল্যান্ড কোচ আইনরিখ ম্যালান
আজ পাওয়ারপ্লেতে মাত্র একটি উইকেট নিতে পেরেছে আয়ারল্যান্ড, সেটিও এসেছিল তামিম ইকবালের রানআউটে। এরপর লিটনকে ফিরিয়ে বড় জুটি ভাঙতে পারলেও আবারও ভুগছে আয়ারল্যান্ড। এবার সাকিব ও নাজমুলের জুটি এগোচ্ছে, এরই মধ্যে তাতে উঠেছে ৩৬ রান। ৩১ ওভারে ২ উইকেটে হারিয়ে ১৭৯ রান তুলেছে বাংলাদেশ, আরেকটি বড় স্কোরের ভিত গড়ে উঠছে তাই। 
নাজমুলের ফিফটি
লিটন পরে গতি বাড়িয়েছিলেন, নাজমুল অবশ্য এমন গতিতে খেলছেন শুরু থেকেই। ৫৯ বলে ফিফটিও পেয়ে বাংলাদেশের তিন নম্বর। বাংলাদেশ পেরিয়ে গেছে ১৫০, ২৮ ওভারে ১৫২/২।
উইকেট ছুড়ে এলেন লিটন
তামিম ইকবাল রানআউট হয়ে ফিরেছিলেন দশম ওভারে, বাংলাদেশের রান ছিল ৪২। লিটন ও নাজমুলের জুটি এবার পেরিয়ে গেল ১০০। এবং আলগাভাবে আউট হলেন লিটন! কার্টিস ক্যাম্ফারের শর্ট লেংথের বলে ঘুরিয়ে খেলতে গিয়ে শর্ট মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ দিয়েছেন লিটন। অতি-আত্মবিশ্বাসের মাশুল দিলেন লিটন। সেঞ্চুরিকে বেশ নাগালের মধ্যেই মনে হচ্ছিল, সেটিই ছুড়ে এলেন বাংলাদেশ ওপেনার। অবশেষে কাঙ্খিত উইকেটের দেখা পেল আয়ারল্যান্ড। 
লিটনের মাইলফলক
২০০০
নবম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে ২ হাজার রান পূর্ণ করলেন লিটন। 
লিটনের ফিফটি
ম্যাথু হামফ্রিস ও অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনের করা শেষ ২ ওভারে এসেছে ২৪ রান। হামফ্রিসকে চার-ছক্কা মেরেছেন লিটন, ম্যাকব্রাইনকে ছক্কা মেরেছেন নাজমুল। বাংলাদেশ পেরিয়ে গেছে ১০০, ২০ ওভার শেষে ১০২/১। লিটন ও নাজমুলের জুটি এর আগেই পেরিয়েছে ৫০ রান। 
২১তম ওভারের প্রথম বলে হামফ্রিসকে শর্ট লেংথে পেয়ে ওয়াইড লং অফ দিয়ে ছক্কা মেরে ফিফটি পূর্ণ করে ফেলেছেন লিটন। মাইলফলকে যেতে তাঁর লেগেছে ৫৪ বল। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে লিটনের এটি অষ্টম ফিফটি। 
তামিম রানআউট
স্কয়ার লেগে খেলেছিলেন লিটন দাস। রান নেবেন কি না, সেটি নিশ্চিত ছিলেন না লিটন বা তামিমের কেউই। একটু দেরি করে দৌড়ানো শুরু করেন দুজন, তবে বিপজ্জনক প্রান্তে ছিলেন তামিম। মার্ক এডেয়ারের থ্রো সরাসরি ভাঙে স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প। দুই ওভারে টানা দুই চার মেরে ছন্দে আসার ইঙ্গিত দেওয়া তামিম হলেন রানআউট। ইংল্যান্ড সিরিজে তিন ম্যাচেই মোটামুটি শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেননি, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ফিরেছিলেন আগেভাগেই। আরেকবার মোটামুটি শুরু করলেও ইনিংস বড় করা হলো না বাংলাদেশ অধিনায়কের। প্রথম পাওয়ারপ্লের শেষ বলে গিয়ে প্রথম উইকেট হারাল বাংলাদেশ, ওপেনিং জুটি ভাঙল ৪২ রানে।
তামিমের মাইলফলক
১৫০০০
প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজার রান পূর্ণ হলো তামিম ইকবালের।
এ ইনিংস শুরুর আগে তামিম ইকবালের প্রয়োজন ছিল ১৪ রান। নবম ওভারে মার্ক এডেয়ারের বলে ডাবলস নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজার রান পূর্ণ করলেন তামিম।  ৩৮৩তম ম্যাচ ও ৪৪৪তম ইনিংসে এ মাইলফলক পূর্ণ হলো তাঁর। জন্মদিনে এ কীর্তি গড়লেন তিনি। 
যদিও সব রান বাংলাদেশের হয়ে আসেনি তাঁর, বিশ্ব একাদশের হয়ে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪টি টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক করেন ৫৭ রান। বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটসম্যানের ১৪ হাজার রানই নেই। ১৩ হাজারের ওপর আছে দুজনের—সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম।
লিটনের ছক্কা-চার
প্রথম ২২ বলে লিটন দাসের রান ছিল ৬। আগের ম্যাচে ৪ উইকেট নেওয়া গ্রাহাম হিউমের ওপর এরপর চড়াও হলেন লিটন। ডাউন দা গ্রাউন্ডে গিয়ে লং অফের ওপর দিয়ে ছক্কার পর মিডউইকেট দিয়ে মেরেছেন চার। হিউমের ওভারে এসেছে ১২ রান, ৮ ওভার শেষে বাংলাদেশ ৩০/০।
প্রথম বাউন্ডারি পঞ্চম ওভারে
টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ শুরুটা করেছে সতর্ক পদক্ষেপে। প্রথম চার এসেছে পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে, মার্ক অ্যাডাইরের বলে তামিমের ব্যাটে। 
৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান বিনা উইকেটে ১৪। তামিম ১৪ বলে ৭ রান, লিটন ১৬ বলে ৬।
আয়ারল্যান্ডেও একটি পরিবর্তন
লেগ স্পিনার গ্যারেথ ডিলানির জায়গায় খেলানো হচ্ছে ২০ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনার ম্যাথু হামফ্রিসকে। অভিষেক হচ্ছে তাঁর। 
আয়ারল্যান্ড একাদশ
অ্যান্ড্রু বলবার্নি (অধিনায়ক), মার্ক এডেয়ার, কার্টিস ক্যাম্ফার, জর্জ ডকরেল, স্টিফেন ডোহেনি, গ্রাহাম হিউম, ম্যাথু হামফ্রিস, অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রাইন, পল স্টার্লিং, হ্যারি টেক্টর, লরকান টাকার।
মোস্তাফিজের জায়গায় হাসান
এ মুহূর্তে মূল উইকেটের পাশে বোলিং অনুশীলন করছেন মোস্তাফিজুর রহমান, শরীফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদরা। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অবশ্য দলে নেই মোস্তাফিজ। তাঁর জায়গায় খেলানো হচ্ছে হাসান মাহমুদকে। আগেই যেমন বলা হয়েছে—এ ম্যাচেও নেই মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম ম্যাচের একাদশ থেকে বাংলাদেশ এনেছে একটিই পরিবর্তন। 
বাংলাদেশ একাদশ
তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, তৌহিদ হৃদয়, ইয়াসির আলী, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, ইবাদত হোসেন ও নাসুম আহমেদ।
টস
আবারও টসে জিতেছেন আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ডি বলবার্নি। আবারও ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ফলে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাটিং করবে বাংলাদেশ।
আজও তিন পেসার?
বিসিবির মেডিকেল বিভাগ টিম ম্যানেজমেন্টকে পরামর্শ দিয়েছে, সিরিজ শুরুর আগে অনুশীলনে ফুটবল খেলতে গিয়ে চোট পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজকে শুধু এ ম্যাচ নয় ওয়ানডে সিরিজেই না খেলাতে। ফলে আজও বাংলাদেশ একাদশে দেখা যেতে পারে তিন পেসার। কিছুক্ষণের মধ্যেই নিশ্চিত হওয়া যাবে সেটি, টসের জন্য এরই মধ্যে পিচের পাশে এসেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল, ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুন, আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ডি বলবার্নি।
 

বিজ্ঞাপন