‘মার্কিন ভিসা নীতির কারণে অগণতান্ত্রিক শক্তিগুলো সহিংসতা থেকে দূরে থাকবে’

জাতীয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির কারণে অগণতান্ত্রিক শক্তিগুলো সহিংসতা থেকে দূরে থাকবে। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিংকেন এক বিবৃতিতে ওয়াশিংটনের নতুন ভিসা নীতির ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের স্বার্থেই যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপ নিয়েছে। ওয়াশিংটনের নতুন ভিসা নীতির অধীনে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকা বন্ধ হয়ে যাবে।
তাদের মধ্যে বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা বা কর্মচারী, সরকার সমর্থক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে ব্লিংকেনের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কাজের মধ্যে যেমন ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, সহিংসতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দেয়া এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আইনের তথাকথিত ৩(গ) বিধান অনুসারে ভিসা সীমাবদ্ধতা নীতির বিষয়টি বাংলাদেশ সরকার আমলে নিয়েছে। দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখার জন্য সর্বস্তরে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের দ্ব্যর্থহীন অঙ্গীকারের বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ এই ঘোষণা দেখতে চায়। বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশের জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক ও ভোটাধিকারের ব্যাপারে অনেক সচেতন। ভোট কারচুপির মাধ্যমে জনগণের দেওয়া রায় কেড়ে নিয়ে কোনো সরকারের ক্ষমতায় থাকার নজির নেই। জনগণের ভোটাধিকারের অধিকারকে আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রীয় পবিত্রতা বলে মনে করে, যে অধিকারের জন্য তাদের নিরলস সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের রাজনৈতিক উত্তরাধিকার রয়েছে। সরকার সব শান্তিপূর্ণ ও বৈধ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য সমাবেশ ও সমাবেত হওয়ার স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দেয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, নির্বাচনের সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক আয়োজনে কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা সত্তার হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ ও মোকাবেলার জন্য সরকারি কাঠামো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। নির্বাচন কমিশনের স্বীকৃত আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের দ্বারা নির্বাচনী প্রক্রিয়া কঠোর নজরদারির মধ্যে থাকবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকার আশা করে, স্থানীয় অগণতান্ত্রিক শক্তি যারা সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায় তারা সতর্ক থাকবে। সংবিধানের নির্দেশিত নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বিপন্ন করার বিভ্রান্তিকর প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকবে। 

বিজ্ঞাপন