লাগামহীন গরুর মাংস ও মুরগির দাম, দুশ্চিন্তায় নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা

ছবি- প্রতিনিধি

সংযমের মাস রমজান দরজায় কড়া নাড়ছে। এরই মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েই চলছে। বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০টাকায়, বেড়েছে মুরগির দামও। এছাড়া আমিষের অন্যতম প্রধান উৎস মাছের বাজারেও আগুন। এ অবস্থায় জীবন যেন চলছেই না। এ নিয়ে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের চিন্তার শেষ নেই। রবিবার (১২ মার্চ) শেরপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমনটিই দেখা গেছে।
বাজারে গরুর মাংস বিক্রেতা আব্দুল হামিদ বিজয় বাংলাকে জানান, একমাসের ব্যবধানে গরুর মাংসের দাম বৃদ্ধি হয়ে প্রতি কেজিতে ১শ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিকেজি ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা। গত মাস আগে গরুর মাংস বিক্রি হয় ৬০০ থেকে ৬১০ টাকায়। খাসির মাংস বিক্রেতা বকুল শেখ জানান, বর্তমানে খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯৬০ টাকায়। 

মুরগি বিক্রেতা সুমন বিজয় বাংলাকে জানান, বাজারে আবারও দাম বেড়েছে মুরগির। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা দরে। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে। দুই সপ্তাহ আগে সোনালি মুরগির কেজি ছিল ২৯০-৩০০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা
মাংসের বাজারের সকল বিক্রেতের জানিয়েছেন দাম বৃদ্ধি হওয়ার কারনে ক্রেতা কমে গেছে। যেখানে দিনে ৫টি গরুর মাংস কিক্রি হত দাম বৃদ্ধির কারনে এখন ২টি গরুর মাংস বিক্রয় করতে তারা হিমসিম খাচ্ছে।
এদিকে সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকারভেদে ফুলকপি ১৫ থেকে ২০ টাকা, আলু ও শসা প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ২০ থেকে ২৫ টাকা, শিম প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, করলা ৯০-১০০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
লাউ প্রতিটি আকারভেদে ২০ থেকে ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, কচুর লতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচা মরিচ দাম কমেছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়। পেঁয়াজ ৪০ টাকা, বড় রসুনের কেজি ১২০ টাকা। ছোট রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা দরে। বাজারে আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। খোলা চিনি প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। খোলা আটার কেজি ৬০ টাকা, প্যাকেট ৬৫। দেশি মসুরের ডালের কেজি ১৩০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১১০ থেকে ১১৫ টাকা। সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৭ টাকায়। লবণের কেজি ৩৮ থেকে ৪০ টাকা। বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম একটু কমে ৪০ টাকা হালি।


বিনোদপুরের কৃষক আলম বিজয় বাংলাকে জানান, আমরা কৃষক জমি থেকে পাইকেরি বাজারে মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করছে ৪-৫ কেজি ওজের মিষ্টি কুমড়া ৩৫ থেকে ৫০ টাকা সেই মিষ্টি কুমড়া ক্রেতারা বাজার থেকে প্রতি কেজি ক্রয় করছে ৪০টাকা। তারা ৪গুন বেশি দামে ক্রয় করছে। অথচ আমরা কৃষক দাম পাচ্ছিনা।
খিরা চাষি বিজয় বাংলাকে জানান, আমরা পাইকেরি বিক্রি করছি ৬ থেকে ৭ টাকায়। বাজারে ক্রেতারা ক্রয় করছে ২৫ থেকে ৩০টাকায়। তারা ৪গুণ বেশি দামে ক্রয় করছে। অথচ আমরা কৃষক দাম পাচ্ছি না।

বিজ্ঞাপন