কামিল পরিক্ষার্থীদের ভাইভায়

কয়রায় পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাইয়ে দিতে দেড় লক্ষাধিক টাকা নিয়ে লাপাত্তা

খুলনার কয়রা উত্তরচক কামিল মাদ্রাসার কামিল মাদ্রাসার কামিল পরিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট ও মৌখিক পরিক্ষায় ভালো নম্বার পাইয়ে দিতে দেড় লক্ষাধিক টাকা নিয়ে লাপাত্তা মাওঃ মাসুদুর রহমান। কামিল পরিক্ষার্থীদের ভেন্যু কয়রা সরকারি মহিলা কলেজে মোট ৩০৮ জন ছাত্র ছাত্রী পরিক্ষা দেয়। পরিক্ষা শেষে ভাইভা পরিক্ষার জন্য ইসলামি আরবী বিশ^বিদ্যালয়ের অনুমোদন প্রাপ্ত বহিরাগত ২ জন ও অভ্যন্তরিন ১ জন পরিক্ষক আসলে উত্তরচক কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল মোঃ জামাল হোসেন কে পরিক্ষকদের সহযোগিতা না করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয় সরেজমিনে রবিবার পরিক্ষা ভেন্যু কয়রা সরকারি মহিলা কলেজে খবর নিয়ে জানা গেছে, কয়রা উত্তরচক কামিল মাদ্রাসা থেকে ৬ মাস পূর্বে সাময়িক বরখাস্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওঃ মাসুদুর রহমান পরিক্ষা চলাকালিন সময়ে হলে ঢুকে সকল ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে ভাইভা পরিক্ষায় ভালো নম্বার পাইয়ে দিতে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা হারে ১৫৪০০০ হাজার টাকা আদায় করে পালিয়েছেন।
সূত্র জানায়, তার বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা থাকায় এবং বর্তমান পুলিশের ভয়ে তিনি এলাকা ছাড়া। এদিকে আরবী বিশ^বিদ্যালয়ের অনুমোদন প্রাপ্ত ঝিনাইদহ সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ রুহুল কুদ্দুস , খুলনা নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মোঃ গোলাম মোস্তফা কে ভারপাপ্ত অধ্যক্ষ জামাল হোসেন কোন প্রকার সহযোগিতা করছেন না। এ বিষয় উক্ত দুই পরিক্ষকের সাথে কথা বললে, তারা জানান, উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নির্দেশে আমরা এসেছি এবং আমাদের দেখভালের সার্বিক দায়িত্ব কয়রা উত্তরচক কামিল মাদ্রাসার কতৃপক্ষের থাকলেও গত ৩ দিনে কেউ আমাদের খোঁজ খবর নেইনি। এছাড়া আমাদের নাম করে মাওঃ মাসুদ, কর্মচারি কামরুল ও ইবতেদায়ী শিক্ষক হাবিবুর ছাত্র প্রতি ৫০০ টাকা করে নিয়েছেন বলে ছাত্ররা জানিয়েছেন। ভাইভা পরিক্ষার্থী আলমগীর হোসেন, সোহেল, হযরত আলী, মনিরা খাতুন, আইয়ুব আলী, মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আমরা সকলে বেশি নম্বর পাব এমন আশায় মাওঃ মাসুদুর রহমান হুজুর আমাদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে নিয়েছেন। পরিক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, আরবী বিশ^বিদ্যালয়ের নির্দেশ অমান্য করে উত্তরচক কামিল মাদ্রসার কতৃপক্ষ পরিক্ষকদের কোন প্রকার সহযোগিতা করছেন না। আমি উত্তর চক মাদ্রসার ভারপ্রাপÍ অধ্যক্ষ জামাল হোসেনের কাছে ফোনে সহযোগিতার কথা বললে তিনি বলেন, মাওঃ মাসুদ দেখবেন। তখন আমি বললাম আরবী বিশ^বিদ্যালয় থেকে তো চিঠি দিয়েছে আপনি চাহিদা মোতাবেক জনবল, এবং সকল প্রকার আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করবেন। তখনও তিনি বলেন মাওঃ মাসুদ দেখবেন। তারপর থেকে জামাল সাহেবের আর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। অথচ পরিক্ষা চলাকালিন সময়ে প্রতিটি ছাত্রের কাছ থেকে ভাইভার কথা বলে ৫০০ টাকা নিয়েছেন মাওঃ মাসুদ, কামরুল ও হাবিব। তিনি বলেন, আমার কাছে বাইরে থাকা বিভিন্ন ছাত্র ফোন করছে তারা বলছে স্যার আমরা পরিক্ষা দিতে যেতে পারব না।  মাওঃ মাসুদ বলছে তোমাদের আসা লাগবে না আমি ভাইভা পরিক্ষায় নম্বার দিয়ে দেব। সেজন্য মাওঃ মাসুদ ছাত্র প্রতি ২ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। এ বিষয় বিভিন্ন ভাবে মাওঃ মাসুদ, কামরুল ও হাবিবের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে পরিক্ষা কেন্দ্রে হাবিব ও অধ্যক্ষ জামালকে দেখা যায়নি।

বিজ্ঞাপন