জাপান ও দ. কোরিয়ার নেতাদের ওয়াশিংটনে আমন্ত্রণ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চলতি বছরের শেষ দিকে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের জন্য জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউনকে ওয়াশিংটনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
রোববার (২১ মে) মার্কিন প্রশাসনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসি, রয়টার্স, আল জাজিরাসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো এ তথ্য জানিয়েছে।
গত কয়েক দশকের টানাপোড়েনের পর জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বিরাজমান সম্পর্কের বরফ আপাতদৃষ্টিতে গলানোর লক্ষ্যেই বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই আমন্ত্রণ আসে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে সংক্ষিপ্তভাবে মিলিত হন এবং প্রেসিডেন্ট বাইডেন সেখানেই তাদের এই আমন্ত্রণ জানান।
এর আগে, কিশিদা এবং ইউন যৌথভাবে হিরোশিমায় ১৯৪৫ সালে পারমাণবিক বোমা হামলার শিকার কোরিয়ানদের নিবেদিত একটি সেনোটাফে তাদের পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এদিকে, ইউক্রেন নিয়ে আলোচনার পর জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করতে চলেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা।
জাপানের নেতা স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটায় এ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন।
এর আগে কিশিদা ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছেন। তার দেশ ইতোমধ্যেই শত শত রাশিয়ান সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং ইউক্রেনে প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে।
জাপানের নেতা বারবার ইউক্রেনের দুর্দশাকে স্ব-শাসিত তাইওয়ানের ভাগ্যের সঙ্গে তুলনা করেন। যাকে চীন তার ভূখণ্ড বলে দাবি করে এবং প্রয়োজনে জোর করে পুনরায় দখল করার হুমকি দিয়েছে।
এর আগে, ভলোদিমির জেলেনস্কি তথাকথিত গ্লোবাল সাউথ দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন। যদিও তার দেশ জি-৭ এর আনুষ্ঠানিক অংশ নয়, আয়োজক জাপানই তাকে এই শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানায়।
ইউক্রেনের নেতা এসময় রাশিয়ান আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে তার দেশের পাল্টা আক্রমণের জন্য বিশ্বব্যাপী সমর্থন চান। 

বিজ্ঞাপন