জাপান কেন বাংলাদেশ ও ভারতের কাছাকাছি আসতে চাইছে?

জাপান দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে।   দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারত এবং বাংলাদেশে উন্নয়নমূলক অবকাঠামোতে বিনিয়োগ করেছে জাপান। চীন এই ময়দানে (বিশেষত বাংলাদেশে) প্রবেশ করে তার অবস্থান দৃঢ় করতে চাইছে।  জাপানের এই  ‘মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক’ নীতি পর্যালোচনা করে দেখেছেন অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ফুমিকো ইয়ামাদা  ইন্দো-প্যাসিফিক ফ্রেমে নিজেদের জায়গা ধরে রাখতে কীভাবে  বাংলাদেশ ও ভারতের মনে জাপান আস্থা তৈরি করেছে  সেই বিষয়টি তিনি তুলে ধরেছেন। 
বাংলাদেশ, জাপান এবং ভারত ১১ থেকে ১২ই এপ্রিল ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় একটি কনক্লেভের আয়োজন করেছিল। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের বাণিজ্যিক সম্ভাবনাকে কীভাবে  কাজে লাগানো যায় সেই বিষয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হয়। এশিয়ান কনফ্লুয়েন্স, উত্তর- পূর্ব ভারতের শিলং-এ ভারত সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আলোচনায়  ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী সহ বাংলাদেশ ও ভারতের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন ভারতে জাপানের রাষ্ট্রদূতসহ অন্যরা।
এশিয়ান কনফ্লুয়েন্সের একটি পূর্ববর্তী সমীক্ষা অনুযায়ী উত্তর-পূর্ব ভারত এবং বাংলাদেশ উভয়কেই তাদের মাল্টি-মডেল সংযোগ বাড়াতে হবে। ফলে এই অঞ্চলে শুধু  প্রতিযোগিতাই বাড়বে না পাশাপাশি  দীর্ঘস্থায়ী আঞ্চলিক উন্নয়নের যে ঘাটতি রয়েছে তা পূরণ হবে। সমীক্ষায় পরামর্শ দেয়া হয়েছে যে, বাণিজ্য সুবিধার ক্ষেত্রে সমন্বয় আনতে এবং উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে দক্ষিণ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম  বন্দরে পণ্য পরিবহন ও পরিবহনের জন্য এক্সপ্রেস করিডোর তৈরি করতে উভয়ের একসঙ্গে কাজ করা উচিত।
এর ফলে এই অঞ্চলের ভারতীয়, বাংলাদেশি এবং জাপানি কোম্পানিগুলোর সমস্ত স্টেকহোল্ডাররা উপকৃত হবেন বলে জানানো হয়েছে গবেষণায়।  উত্তর-পূর্ব ভারতে জাপানি বিনিয়োগে  সহায়তার  জন্য জাপান-উত্তর-পূর্ব ভারত চেম্বার অব কমার্স প্রতিষ্ঠা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে গবেষণায়। 
এর সঙ্গেই একটি উত্তর-পূর্ব ভারত-বাংলাদেশ-জাপান সিইও ফোরাম প্রয়োজনীয় যা ব্যবসায়িক নেতৃত্ব প্রদান করবে।
বাংলাদেশ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। এটি এমন একটি দেশ যেখানে জাপান আলাদাভাবে, বড় আকারে বিনিয়োগ করছে। টোকিওর সরকার দেশের অনেক প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত, যার মধ্যে রয়েছে মাতারবাড়িতে গভীর-সমুদ্র বন্দর যা স্থলবেষ্টিত অঞ্চলকে বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। মাতারবাড়ি প্রকৃতপক্ষে বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে টোকিওর বৃহত্তর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রচেষ্টার অংশ, পরিকল্পনা অনুযায়ী যার লক্ষ্য  ‘মাল্টিলেয়ার কানেক্টিভিটি’।  সাবেক পশ্চিম পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর টোকিও বাংলাদেশকে সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পর থেকে জাপান এবং বাংলাদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। 
জাপান উত্তর-পূর্ব ভারতেও উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করেছে, এটি এমন একটি অঞ্চল যা ভারতের অন্যান্য অংশের তুলনায় কম উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করেছে। তবুও এই অঞ্চলের  কৌশলগত গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ এটি ভুটান, চীন, মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী।
এই সমস্ত কারণগুলোর জেরেই  জাপানের পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম উদ্যোগ, ‘ফ্রি অ্যান্ড ওপেন ইন্দো-প্যাসিফিক’ (এফওআইপি) ভিশন। জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী (সম্প্রতি প্রয়াত) শিনজো আবে এই ভিশনের  ধারণা পোষণ করেন। তারপর থেকে জাপান সরকার এটিকে ধারাবাহিকভাবে গুরুত্ব দিয়ে আসছে। এফওআইপি’র অংশ হিসেবে জাপান ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিজের আধিপত্য বজায় রাখার প্রয়াস জারি রেখেছে। 
২০১৮ সালের জুন মাসে, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (ঔওঈঅ) মাতারবাড়ি বন্দরের উন্নয়নের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আনুমানিক ১৯.৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করে। দেশের উন্নয়ন সহায়তার অংশ হিসেবে টোকিও ঢাকা মাস র‌্যাপিড ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পৃক্ত। নতুন এফওআইপি নীতি উন্মোচন করার সময় জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সম্প্রতি বলেছিলেন যে, ‘ভূমিদ্বারা বেষ্টিত উত্তর-পূর্ব ভারতে  অর্থনৈতিক সম্ভাবনা লুকিয়ে রয়েছে; এফওআইপি’র মধ্যে রয়েছে বঙ্গোপসাগরের বৃহত্তর সম্প্রদায়ের অংশ হিসেবে উত্তর-পূর্ব ভারত এবং বাংলাদেশের সমন্বিত উন্নয়ন। বাংলাদেশ এবং দক্ষিণের অন্যান্য অঞ্চলকে একক অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে দেখে, জাপান এই অঞ্চলে ভারত ও বাংলাদেশের সহযোগিতায় একটি বাংলা-উত্তর-পূর্ব ভারত শিল্প-শৃঙ্খল তৈরি করার পরিকল্পনা করছে।
এ ছাড়া জাপান ও ভারত ইতিমধ্যে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে প্রকল্প গ্রহণের জন্য একটি ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ ফোরাম গঠন করেছে। ভারত সফরকালে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একটি বৈঠকের পর জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা নতুন দিল্লিতে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স (ওঈডঅ) এ একটি বক্তৃতায় জাপানের এফওআইপি নীতির বিষয়ে বিস্তারিত জানান। তিনি বলেছিলেন যে, জাপান দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীলতা আনতে ভারতের সঙ্গে কাজ করছে, এবং বাংলাদেশকে  একটি ‘স্বল্পোন্নত’ দেশ থেকে ‘উন্নয়নশীল’ দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে  অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব গঠনের জন্য  বাংলাদেশের সঙ্গে একটি স্টাডি গ্রুপ গঠন করেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে কিশিদা যোগ করেছেন যে ‘জাপান এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশগুলোকে সংযুক্তকারী  নির্দিষ্ট কোনো জলসীমানা নেই।’ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ অঞ্চলটি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, কোভিড-১৯ এর মতো সংক্রামক রোগ এবং আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে।
ভারতকে একটি ‘অপরিহার্য অংশীদার’ বলে অভিহিত করে কিশিদা তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল তালিকাভুক্ত করেছেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ- যেখানে সংযোগ বাড়াতে পারলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে। প্রধানমন্ত্রী কিশিদার এফওআইপি দৃষ্টিভঙ্গি বিশেষ করে উদীয়মান অর্থনীতি এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের উন্নয়নশীল দেশগুলোর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, যার মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ দ্বীপ অঞ্চলগুলো সম্পৃক্ত। সহযোগিতার ধারণা সম্পর্কে বিশদভাবে বলার সময় প্রধানমন্ত্রী কিশিদা বলেছেন: ‘কোভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্বে, ডিজিটাল সংযোগও ক্রমবর্ধমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা নির্ভরযোগ্য ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রচার করবো এবং সাবমেরিন ক্যাবল-লেইং প্রকল্প সহ তথ্য অবকাঠামোর উন্নয়ন করবো। আমরা ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্মার্ট শহরগুলোর বাস্তবায়নেও সহযোগিতা করবো। আমরা বিশ্বাস করি যে, জাপানি প্রযুক্তি এবং আইটি ক্ষেত্রে ভারতের শক্তিকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি পরিকাঠামো উন্নয়নেও জাপান সহযোগিতার হাত বাড়াতে প্রস্তুত।’
একটি ছোট মিডিয়া গ্রুপকে ব্রিফিংয়ের সময় জাপানের জনসংযোগ বিষয়ক ক্যাবিনেট সেক্রেটারি নরিয়ুকি শিকাতা বলেছেন যে, এই মুহূর্তে উত্তর-পূর্ব ভারত এবং বাংলাদেশ টোকিওর রাডারে রয়েছে। নেপিডোতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মিয়ানমার আবার এই ফ্রেমে সম্পৃক্ত  হবে। শিকাতা উল্লেখ করেছেন যে, স্থলবেষ্টিত ভুটানকেও বঙ্গোপসাগরের বৃহত্তর উদ্যোগে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে, যদিও এই মুহূর্তে ফোকাসে রয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারত ও বাংলাদেশ। কিশিদার স্বপ্ন পূরণ করতে, টোকিও ২০৩০ সালের মধ্যে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সরকারি ও বেসরকারি খাতে ৭৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
যদিও জন্মের পর থেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ উন্নয়ন অংশীদারদের মধ্যে জাপান অন্যতম, তবে এটি লক্ষ্য করা গুরুত্বপূর্ণ যে, সম্প্রতি চীন তার প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছে। বিশেষ করে বেইজিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) চালু হওয়ার পরে। যাতে  স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। চীনের  কূটনীতিকে টেক্কা দিতে জাপান সুদূর দ্বীপ অঞ্চলগুলোতে সমুদ্রের তলদেশে  মানসম্পন্ন অবকাঠামো উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করবে। কিশিদা নয়াদিল্লিতে তার বক্তৃতায় শ্রীলঙ্কার সংকটময় পরিস্থিতিরও উল্লেখ করেছিলেন এবং ‘অস্বচ্ছ উন্নয়নে অর্থায়ন প্রতিরোধ করার ওপর জোর দিয়েছিলেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রীর  পর্যবেক্ষণ ‘শ্রীলঙ্কায় চীনের আগ্রাসী বিনিয়োগ এবং শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির পতন পরস্পরের সঙ্গে সম্পৃক্ত’।
বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেছেন যে, জাপান  দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের সঙ্গে গভীর সহযোগিতার অন্বেষণ করছে। লক্ষ্য পরবর্তীতে মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকা সহ অন্যান্য ভৌগোলিক অঞ্চলে নিজেদের পথ প্রশস্ত করা। জাপানের প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লিতে আইসিডব্লিউএতে তার বক্তৃতায় বলেছিলেন-‘আমি বিশ্বাস করি যে, জাপান এবং ভারত বর্তমান আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিশ্বের ইতিহাসে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। ‘কিশিদা তাৎপর্যপূর্ণ ঘোষণা করার জন্য ভারতকে বেছে নিয়েছিলেন। কারণ এখানেই জাপানের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত শিনজো আবে ২০০৭ সালের আগস্ট মাসে ভারতীয় সংসদে তার বিখ্যাত ‘ঞযব ঈড়হভষঁবহপব ড়ভ ঞড়ি ঝবধং’ ভাষণ দিয়েছিলেন।  তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন - ‘জাপান জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতকে সহযোগিতা করার জন্য প্রচেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখবে না।’ কিশিদার মতে, উভয় দেশই একটি মুক্ত আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বড় দায়িত্ব বহন করে। 
এখন, মূল প্রশ্ন হলো বাংলাদেশ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে জাপানের বিনিয়োগকে সংযুক্ত করা সম্ভব কিনা? দুটি অঞ্চলে জাপানি বিনিয়োগ সম্ভব কিনা এই প্রশ্নের আগে বিবেচনার জন্য উপলব্ধ বিকল্পগুলো পর্যালোচনা করা উচিত। বাংলাদেশ থেকে ভারতে যে পণ্য পরিবহন করা হচ্ছে তার প্রকৃতি কেমন হতে পারে? সম্ভবত এর মধ্যে টেক্সটাইল, মৎস্যজাত দ্রব্য এবং বাংলাদেশের বাইরের পণ্য অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে যা ভারতে পাঠানোর জন্য মাতারবাড়িতে অফলোড করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ভারত ও জাপান উভয়ের প্রতিই বন্ধুত্বপূর্ণ। কিন্তু পণ্যের এই ধরনের চলাচল সঠিক পরিবহন পরিকাঠামোর উপর নির্ভর করবে, যা তৈরি করা প্রয়োজন। সড়কপথের সঙ্গে বাংলাদেশ ও উত্তর-পূর্ব ভারতকে যুক্ত করা চ্যালেঞ্জিং হবে। পাশাপাশি অনেক কারণের জেরে এই অঞ্চলে রেল যোগাযোগও  দুর্বল।  আর তাই উত্তর-পূর্ব ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে রেল যোগাযোগের উন্নয়নে ভারতও জাপানের সঙ্গে হাত মেলাতে পারে।


লেখক: ফুমিকো ইয়ামাদা, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গবেষণা সহযোগী। তিনি কানাডার টরন্টো ইউনিভার্সিটি থেকে সাউথ এশিয়ান স্টাডিজে ডিগ্রি লাভ করেন এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ে আগ্রহী।

বিজ্ঞাপন