*বগুড়া শেরপুর করতোয়া নদীর তীরে হরযত শাহ তুরকান এর সমাধিস্থল কেন হলো অনেক তথ্য মতে জানা যায়, শাহ তুরকান এর এই মাজারটি শির মোবারকের অর্থাৎ মাথা মোবারকের। আর দেহ মোবারক রয়েছে শির মোবারক মাজার থেকে দেড় কিলোমিটার দক্ষিনে ধর্মগ্রাম নামক স্থানে। আর তাই শাহ তুরকান এর শির মোবারকের এর উপুর ভিত্তি করেই শেরপুর নামকরণ করা হয়েছে বলে জানা যায়।
#তবে ইতিহাস থেকে জানা যায়, *একাদশ শতকের লেখক, পন্ডিত, মহাযোদ্ধা রাজা দ্বিতীয় বল্লাল সেন ছিলেন রাজ্য বিস্তারের মহা উদ্যোগী। রাজা বল্লাল সেন পাল বংশ বৌদ্ধ রাজত্ব নিঃশেষ করে সনাতন ধর্ম পূর্ণ স্থাপন করেছিলেন হিন্দু ধর্মবলিদের আধিপত্য বিস্তারের ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিলেন। বল্লাল সেন রাজ্য বিস্তারের জন্য বঙ্গ অধিপতি ভোজ বর্মা কে যুদ্ধে পরাজিত করে বঙ্গ দখল করে পূর্ব-পশ্চিম এবং উত্তরের দিনাজপুর রংপুর জয়পুরহাট বগুড়াসহ দক্ষিণের সমুদ্র পর্যন্ত দাপটের সঙ্গে শাসন করেন। রাজা বল্লাল সেনের আমলে হিন্দুদের আধিপত্য এতটাই প্রখর ছিল যে মুসলমানদের ধর্ম পালনে বাধা প্রয়োগ করতো এবং নানাভাবে অমানবিক অত্যাচার নির্যাতন করত।
#মুসলমানদের অধিকার আদায় এবং ধর্ম *প্রচারের জন্য হরযত শাহ তুরকান (রা:) তার নিজ অঞ্চল তুর্কিস্তান থেকে বর্তমান বগুড়া শেরপুর আগমন করেন। কত সালে আগমন করেছেন কত সালে মৃত্যুবরণ করেছেন তার সঠিক তথ্য এখনো পাওয়া যায় নাই। তাই রাজা বল্লাল সেন হযরত শাহ তুরকান এর আগমনের সংবাদ পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বাধা প্রয়োগ করেন এবং অবশেষে শেরপুর *উপজেলা বর্তমান ধর্মগ্রাম নামক স্থানে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধের এক পর্যায়ে রাজা বল্লাল সেন এর তরবারির আঘাতে হরযত শাহ তুরকান এর শির মোবারক ধর থেকে আলাদা হয়ে যায়। হযরত শাহ তুরকান এর শির মোবারক বল্লাল সেনের সৈন্যদল বেজ্জতি করার চেষ্টা করলে, মহান আল্লাহ তাআলার অশেষ মহিমায় বর্তমান *শেরপুর পৌরসভার আলিয়া মাদ্রাসা করতোয়া নদীর তীরে চলে আসেন, কথাকথিত রয়েছে শির মোবারকটি যে স্থান দিয়ে এসেছে সে স্থান দিয়ে একখানা রক্তমাখা লালা তৈরি হয়। অবশেষে হরযত শাহ তুরকান (রা:) এর শির মোবারক তার সঙ্গী-সাথীগণ করতোয়া নদীর তীরে সমাধিত করেন।
যা একটি মুসলিম ঐতিহাসিক বেদনাদায়ক কাহিনী।