ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডির আঘাতে নিহত বেড়ে ২১৯

ছবি-সংগৃহীত

পূর্ব আফ্রিকার দেশ মালাউই ও মোজাম্বিকে ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডির আঘাতে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। বুধবার মৃতের সংখ্যা ২১৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আরও ছয় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছে অন্তত আরও ৩৭ জন। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে মালাউই-এর বহু এলাকা লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। বিধ্বস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি এবং উপড়ে গেছে গাছপালা। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মালাউইতে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা ও ভূমিধসে ১৯৯ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছে ৫৮৪ জন, নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ৩৭ জন।
এছাড়া প্রতিবেশী মোজাম্বিক মধ্যাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ঝড়ের সঙ্গে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক বন্যা। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ২৪ জন। এক মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয় দফায় আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়টি। দেশটির সরকার দক্ষিণের ১০টি জেলায় দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি ঘোষণা করেছে। জানা গেছে, মালাউইয়ের বাণিজ্যিক কেন্দ্র ব্লানটায়ারে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যাদের মধ্যে ডজনখানেক শিশুও রয়েছে।
কাদায় চাপা পড়ে থাকা জীবিতদের খুঁজে বের করতে হিমশিম খাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। এ কাজের জন্য তারা বেলচা ব্যবহার করছেন। রাস্তা ও সেতু ভেঙে পড়ায় উদ্ধারকাজ ব্যহত হচ্ছে। অন্যদিকে, ভারী বৃষ্টি ও প্রবল বাতাসের কারণে হেলিকপ্টারও ব্যবহার করা যাচ্ছে না উদ্ধার কাজের জন্য।
পুলিশের মুখপাত্র পিটার কালায়া বলেন, নদীগুলোর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। পানিতে ভেসে যাচ্ছে ঘরবাড়ি, জীব-জন্তুসহ সরঞ্জামাদি। ভবন ধসে পড়ছে। টানা ভারি বৃষ্টি ও প্রবল বাতাসের জেরে বেশ কিছু এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ে বিকল হয়ে পড়েছে মালাউইয়ের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। দেশের বেশির ভাগ অংশে দীর্ঘস্থায়ী ব্ল্যাকআউট হয়েছে। দেশটির সরকার হাজার হাজার অসহায় মানুষের জন্য সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে।
সূত্র: এবিসি নিউজ, বিবিসি।

বিজ্ঞাপন