ফুলবাডীতে ছোট ভাই ও ভাতিজার হামলায় আহত স্বামী স্ত্রী

ছবিঃ প্রতিনিধি

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় কাজী হাল ইউনিয়নে  আপন ছোট ভাই ও ভাতিজার হামলায় গুরুতর  আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়ে় আছেন সাবেক সেনা সার্জন মোঃ জামিল উদ্দিন (৫২)ও তার স্ত্রী মোসাম্মৎ সেলিনা বেগম(৪৫)।
গত রবিবার সকাল আনুমানিক ১১ টায় ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কাজিহাল ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের
আহত জামিল উদ্দিন ও তার স্ত্রী মোসাম্মৎ সেলিনা বেগম উপজেলার কাজিহাল ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। হামলাকারী মোঃ আব্দুর হামিদ(৪৮) ও তার ছেলে মোঃ ফিজুর উদ্দিন(২৪) একই গ্রামের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় ফুলবাড়ী থানায় জামিল উদ্দিন বাদী হয়ে গত ২৮/০৩/২০২৩ ইং তারিখে  দুই জনের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডাইরী করেন।
ফুলবাড়ী থানায় অভিযোগে উল্লেখ্য করেন সাবেক সেনা সার্জন জামিল উদ্দিন ও পাশের বাড়ীর আব্দুল হামিদ আপন ভাই হলেও পূর্ব থেকে জায়গা জমির বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া ফ্যাসাদ ও মনোমালিন্য লেগেই আসছিল। এই কারণে অতীতে জামিল উদ্দিন তার ভাইয়ের  বিরুদ্ধে মামলা ও করেছে ,যা এখনো চলমান। ঘটনার দিন জামিল উদ্দিন তার নিজ খুলিয়ানে মুরগির ফার্মে দাঁড়িয়ে  থাকলে আব্দুল হামিদ ও তার ছেলে ফিজুল কোন কারণ ছাড়াই পিছন দিক হতে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি ভাবে  মারপিট করতে থাকে। এ সময় স্ত্রী সেলিনা বেগম বাধা দিতে আসলে তাকেও মারতে থাকে। এ সময় তারা প্রাণ  রক্ষার্থে চিৎকার করতে থাকলে আশেপাশের লোকজন এসে তাদের সেখান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য  ভর্তি করেন ।
আহত জামিল উদ্দিন বলেন, আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সাজন হিসেবে ১৯৮৮ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সততার সাথে চাকরি করি। এবং ২০০৮ সালে আমি জাতিসংঘের অধীনে কুয়েতে সেনাবাহিনীতে যোগ দেই এবং চাকরি শেষে ২০২০ সালে দেশে ফিরে আসি। অথচ বাড়িতে ফিরে আমি প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, ২০১৪ সালে থেকে এক প্রকার জোড়পূর্বক আমার ছোট ভাই আব্দুল হামিদ আমার নিজ নামেও বাড়ি ঘর দখল করে বসবাস করছেন। যখনই আমি আমার বাড়ি ছেড়ে দিতে বলি তখনই আমাকে ভয়-ভীতি সহ প্রাণনাশের  হুমকি দেন । গত বছরও রমজান মাসে আব্দুল হামিদ ও তার পরিবার হত্যার উদ্দেশ্যে আমার উপর হামলা চালায় যার মামলা এখনো চলমান। তিনি কান্না জড়িত  কণ্ঠে বলেন,গত ২৬শে মার্চ আমাকে ও আমার স্ত্রীকে নির্মমভাবে হত্যার চেষ্টা  চালায়  (হামিদ ও তার ছেলে ফিজুল ক্ষান্ত হয়নি তারা । প্রকাশ্যে চিৎকার করে বলেছে "তোকে আজ হলেও মেরে ফেলবো কাল হলো মেরে ফেলবো।" আহত জামিল উদ্দিন তার উপর বারবার হামলার সঠিক বিচার দাবি করেছেন প্রশাসনের কাছে।
 

বিজ্ঞাপন