স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে

দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণের গুরুত্ব ও আরডিএ, বগুড়ার করণীয় শীর্ষক সেমিনার

পল্লী উন্নয়ন একাডেমী বগুড়া’র পল্লী পাঠশালা রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) আয়োজনে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণের গুরুত্ব ও আরডিএ বগুড়ার করণীয় শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।  বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় আইটি ভবনের ২য় তলায় এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
আরডিএ বগুড়ার মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো: খুরশীদ ইকবাল রেজভীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) নাসরীন আফরোজ। সেমিনারের কো-কনভেনর ও একাডেমীর যুগ্মপরিচালক শেখ শাহরিয়ার মোহাম্মদের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আরডিএ বগুড়া’র অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড.আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুগ্মপরিচালক ড. আব্দুল মজিদ প্রামানিক।

 এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জনতা ব্যাংক বগুড়া জোন ডিজিএম আহমেদ তৈয়ব হাসান, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বগুড়ার জোন অফিসার শাহিনুর রহমান, টিএমএসএস প্রতিনিধি ফয়জুন্নাহার, বিআরডিসি বগুড়া প্রতিনিধি হাসিবুর রহমান, এনামুল হক, সারিয়াকান্দি থেকে আসা প্রশিক্ষণার্থী সাজু আহমেদ প্রমুখ। 
বক্তারা বক্তব্যে বলেন, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতোত্তর বাংলাদেশ পুনর্গঠন মুক্ত সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে সফল বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি যথার্থই অনুভব করেছিলেন যে, গ্রামভিত্তিক বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রশিক্ষণ ও গবেষণার। তাই তাঁর ঐকান্তিক ইচ্ছা ও প্রচেষ্টায় ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আওতায় ২.২০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদানের মাধ্যমে পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (আরডিএ), বগুড়া প্রতিষ্ঠিত হয়। আর এই একাডেমীর মূল দায়িত্ব প্রশিক্ষণ প্রদান, গবেষণা পরিচালনা করা এবং স্টেকহোল্ডারদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ সেবা প্রদান করা।
পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, বগুড়া পল্লী উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রথমে গবেষণা করে। এই গবেষণার উপর ভিত্তি করে ছোট পরিসরে প্রায়ণিক গবেষণা করে। গবেষণা ও প্রায়গিক গবেষণায় বিষয়টি সফল হলে সেটিকেই আমরা প্রশিক্ষণে রূপান্তর করে থাকি। এর মধ্যে ৪টি মূল কার্যক্রমের মধ্যে প্রশিক্ষণ অন্যতম। প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য গ্রামীণ উন্নয়নের লক্ষ্যে মানবসম্পদ উন্নয়ন।
প্রশিক্ষনার্থী প্রক্তন প্রবাসী সাজু আহম্মেদ বলেন, আমি যে প্রশিক্ষন দিলাম প্রবাসে যাওয়ার আগে এই প্রশিক্ষন দিয়ে গেলে আমার প্রবাসে অনেক টাকা বেতন হত। বিভিন্ন দেশ থেকে তারা এমন প্রশিক্ষন নিয়ে প্রবাসে যায়। তারা বেশি বেতন পায় এতে দেশের রেমিটেন্সও বেশি আছে।

বিজ্ঞাপন