ধর্ষণ মামলায় আদালতে মামুনুল হক

মামুনুল হক

হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় অষ্টম দফায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য তাকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়েছে। আজ তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য তিনজনকে সমন দেয়া হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় তাকে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে দিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। তবে সাক্ষ্য শেষে মামুনুল হককে আবার কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

তারা হলেন, ২৩ নম্বর সাক্ষী সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আনিসুর রহমান, ২৪ নম্বর সাক্ষী এএসআই কর্ণকুমার হালদার ও ২৫ নম্বর সাক্ষী এএসআই শেখ ফরিদ। একই সঙ্গে আগের তারিখে অনুপস্থিত থাকা সাক্ষীরাও আছেন। জানা গেছে, বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ হবে। ধর্ষণ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সর্বশেষ গত ৩ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছিল। এদিন সোনারগাঁ থানার এসআই মো. কোবায়ের হোসেন ও বোরহান দর্জি নামে দুই পুলিশ কর্মকর্তা সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ কে এম ওমর ফারুক নয়ন জানান, বুধবার দুপুরে মামুনুল হকের বিপরীতে চার পুলিশসহ ছয় জনের সাক্ষ্যগ্রহণের কথা আছে। ইতোমধ্যে মামুনুলকে আদালতে আনা হয়েছে। আমরা সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য প্রস্তুত। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বুধবার দুপুরে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের কথা আছে। নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, বুধবার সকালে মামুনুল হককে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মামুনুল হক ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করে। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। পরে ওই বছরের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে মামুনুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। কিন্তু ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক। এদিকে গত ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় মামুনুলের উপস্থিতিতে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীর সাক্ষ্য নেন আদালত। পরে একইসঙ্গে ওই বছরের ৩ নভেম্বর মামুনুলের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেয়া হয়।
 

বিজ্ঞাপন