চারাগাঁও সীমান্তে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কয়লা ও পাথর পাচাঁরের অভিযোগ

সুনামগঞ্জের চারাগাঁও সীমান্তে লাখলাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিরাতে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা ও চুনাপাথরসহ চিনি, সুপারী ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর করা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্ভর) রাত ১১টা থেকে আজ মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্ভর) ভোর ৫টা পর্যন্ত জেলার চারাগাঁও সীমান্তের লামাকাটা, জঙ্গলবাড়ি, কলাগাঁও, চারাগাঁও এলসি পয়েন্ট, বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে একযোগে কয়লা, চুনাপাথর, চিনি, সুপারী ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর করে অর্ধশতাধিক ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই করে পাটলাই নদী দিয়ে নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা নিয়ে গেছে স্থানীয় চোরাকারবারীরা। পরে পাচাঁরকৃত প্রতিনৌকা (২০মেঃটন) অবৈধ মালামাল।  এই চোরাচালান ও চাঁদাবাজি বাণিজ্য করে সোর্স ও তাদের গডফাদার গত ২ বছরে কোটিকোটি টাকা মালিক হয়েগেছে বলে জানা গেছে।
এব্যাপারে কয়লা ও চুনাপাথর আমদানী কারক আবুল বাশার খান নয়ন বলেন- সীমান্তের যেদিকে যাই শুধু চাঁদাবাজি করছে বলে এলাকার লোকজন অভিযোগ করেছে। তাই এ ব্যাপারে প্রশাসনের সহযোগীতা প্রয়োজন। উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্মার ও আমদানী কারক রাশিদ মিয়া বলেন- আমার ওয়ার্ডের জঙ্গলবাড়ি, কলাগাঁও, এলসি পয়েন্ট, বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে প্রতিদিন রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে কয়লা ও পাথর পাচাঁর করা হচ্ছে। আর আমরা সরকারের রাজস্ব দিয়ে বৈধ ভাবে কয়লা আমদানী করে বিক্রি করতে পারিনা।
চারাগাঁও ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার তাজুল ইসলাম বলেন- বিজিবির চোখে ফাঁকি দিয়ে এলাকার মানুষ কয়লা ও পাথর পাচাঁর করে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে। অতিদ্রুত তাদের আটক করা হবে । পাচাঁরকৃত অবৈধ মালামাল থেকে বিজিবি, পুলিশ ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন নামে চাঁদা উত্তোলনের খবর শুনতে পাই। কিন্তু সরাসরি পাইনি। 

তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন বলেন- আমি এখানে নতুন এসেছি, তাই অনেক কিছুর সম্পর্কে জানিনা। তবে লোকজনের মুখ থেকে একজনের নাম শুনতে শুনতে মুখস্থ হয়েগেছে। সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজিসহ সকল অন্যায় কর্মকন্ডা বন্ধ করার জন্য অবশ্যই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
 

বিজ্ঞাপন