বিতর্কে কংগ্রেস নেতা, মোদিকে ‘পাগল’ বলে

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্চন চৌধুরী।  
এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে ‘পাগলা মোদি’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
যা নিয়ে তাকে পালটা আক্রমণ করেছে বিজেপি।  
এর আগে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বলে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন অধীর। সেই সময় দেশজুড়ে বিরোধীরা তার বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন। শেষে ক্ষমা চেয়েছিলেন অধীর। তার যুক্তি ছিল, মুখ ফসকে তিনি একথা বলে ফেলেছিলেন।
তবে সেই বিতর্কের পর এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন তিনি। সম্প্রতি দু’হাজার রুপির নোট বাতিল হয়েছে। সেই নোট বাতিল প্রসঙ্গে কেন্দ্র সরকারকে কটাক্ষ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ‘পাগলা মোদি’ বলে মন্তব্য করেন অধীর। ’
মঙ্গলবার (২৩মে) মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরে কংগ্রেসের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনেই অধীর চৌধুরী বলেন, ‘বিজেপির বিদায় ঘণ্টা বাজতে শুরু করেছে। একটা একটা করে রাজ্য চলে যাচ্ছে। গোটা দেশে ৬৩ শতাংশ ভোট মোদির বিরুদ্ধে। তারমধ্যে কোনো কথা নেই বার্তা নেই, হঠাৎ করে ২০০০ রুপির নোট বাতিল করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে দিল। এমনিতে দেশের অর্থনীতি ভেঙে চুরমার। তার মধ্যে ঘোষণা করে দেওয়া হল নাকি বাজারে দুহাজার রুপির নোট আর চলবে না। এ তো মোদি নয়, পাগলা মোদি। লোকে বলছে পাগলা মোদি। ভারতবর্ষের মানুষ বিজেপি সরকারের প্রতি বিরক্ত হয়ে উঠেছে। ’
পরদিন অধীরের এই মন্তব্যের ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।  
তিনি বলেছেন, এই প্রথম নয়। অধীর নিয়মিত এইভাবে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অসাংবিধানিক শব্দ ব্যবহার করেন। আমি তার মন্তব্যের প্রবল নিন্দা করি। অবিলম্বে তার ক্ষমা চাওয়া উচিত।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ভারতে লোকসভা ভোটের প্রচারের সময় কর্নাটকের কোলারে ‘মোদি’ পদবি তুলে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে,  অপরাধমূলক মানহানির মামলায় চলতি বছরের ২৩ মার্চ রাহুল গান্ধীকে ২ বছরের কারাদণ্ড দেয় গজিরাটের নিম্ন আদালত।  আদালতের সেই সিদ্ধান্তের জেরে একদিন পরেই সংসদ সদস্য পদ খোয়াতে হয়েছিল কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধীকে।
এখনও সেই মামলা চলছে। তারই মধ্যে ফের মোদিকে নিয়ে অধীরের মন্তব্যে বিপাকে কংগ্রেস। যদিও বিতর্কের মুখে পরে নিজের মন্তব্যের সাফাই দিয়েছেন অধীর। তার বক্তব্য, সাধারণ মানুষের আবেগকে মর্যাদা দিতে গিয়ে একথা বলেছেন বলে দাবি পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস সভাপতির। 

বিজ্ঞাপন