বগুড়ায় আবাসিক হোটেলের আড়ালে পতিতাবৃত্তি ও মানবপাচার মামলা

ছবি- প্রতিনিধি

বগুড়া সদরে ড্রীম প্যালেস নামে এক আবাসিক হোটেল মালিকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) হায়দার আলী বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
আবাসিক হোটেলের আড়ালে পতিতাবৃত্তি ও পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে আহবান জানানোর অভিযোগে ২০১২ সালের ১৩ ধারায় মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে এ মামলা দায়ের করা হয়। 
মামলায় হোটেল মালিক ইমাম রাসেল (৪০), ব্যবস্থাপক এমদাদুল হক মিলন (৩৮), কেয়ারটেকার মহিদুল ইসলাম (৩৫) আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে সুইটি (২২), বর্ষা (২৬), বৃষ্টি (২৩), পুজা আচার্জ (২২), বৃষ্টি খাতুন (২৩), উজ্জল মিয়া (২৪), রিপন মিয়া (২৫) ও ফারুক শেখ (২৫) মামলায় আসামি করা হয়।
এরমধ্যে হোটেল মালিক ইমাম রাসেল ও ব্যবস্থাপক এমদাদুল হক মিলন পলাতক আছেন। বাকিদের জাতীয় পরিসেবা ‘৯৯৯’ এ অভিযোগ পেয়ে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের ধরমপুর বাজারের ড্রীম প্যালেস আবাসিক হোটেল থেকে আটক করা হয়। মামলা দায়েরের পর তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে আদালাতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানাযায়, এক নম্বর আসামি ইমাম রাসেল তার আবাসিক হোটেল ড্রীম প্যালেসে দীর্ঘদিন যাবত পতিতাবৃত্তি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। বুধবার রাতে পুলিশ সেখানে অভিযান করলে পাঁচজন নারী ও তিনজন পুরুষকে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা অবস্থায় আটক করা হয়। এসময় হোটলের কেয়ারটেকার মহিদুল ইসলামকেও আটক করে পুলিশ। তবে অভিযান টের পেয়ে হোটল মালিক ইমাম রাসেল ও ব্যবস্থাপক এমদাদুল হক মিলন পালিয়ে যায়।  
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, জাতীয় পরিসেবা ‘৯৯৯’ এ অভিযোগ পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়। আবাসিক হোটেলের আড়ালে পতিতাবৃত্তি ও পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে আহবান জানানোয় তাদের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা হয়েছে। দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
 

বিজ্ঞাপন