মাত্রাতিরিক্ত লবণাক্ততায় চরম বিপাকে বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ। কয়েক বছর ধরে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের সুপেয় পানির চাহিদা মেটাচ্ছে সরকার। এলাকাবাসী বলছে, ট্যাঙ্কের বরাদ্দ বাড়াতে হবে। এ অবস্থায় চলতি অর্থবছরেই আরও ৩৫ হাজার ট্যাঙ্ক দেওয়ার কথা জানিয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নের নওয়াপাড়া গ্রামে ৩ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস। গ্রামের চারিদিকে নদী বা পুকুর থাকলেও তা লবণাক্ত। একইভাবে লবণাক্ত জেলার শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, মোংলা, রামপাল উপজেলার গভীর নলকূপের পানিও। সুপেয় পানির অভাব পূরণে ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২০ হাজার বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ। ৪৫ হাজার টাকা ব্যয়ে বসানো যাচ্ছে একটি পানির ট্যাঙ্ক। এ প্রকল্পের মাধ্যমে সুপেয় পানি পাচ্ছে লক্ষাধিক মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দা আলী শেখ বলেন, ‘আমাদের এখানে লবণাক্ত পানি সব। সরকারের পক্ষ থেকে এখানে পানির ট্যাঙ্ক দিয়েছে। এর কারণে আমরা এখন নিরাপদ পানি পাচ্ছি। দূর থেকে আনতে হচ্ছে না’। সরকারের এই প্রকল্পকে সাধুবাদ জানিয়ে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি স্থানীয় জনপ্রতিনিধির।
বাগেরহাট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন বলেন, ‘সরকারের পদক্ষেপের কারণে আমাদের এখানে পানি ট্যাঙ্ক বসানো হয়েছে। আশা করবো এই পানির ট্যাঙ্ক বসানোর জন্য সরকার আরও বরাদ্দ বাড়াবে’। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের পাশাপাশি পুকুর পুনঃখননের মাধ্যমে সুপেয় পানি নিশ্চিতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। বাগেরহাট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ন্ত কুমার মল্লিক বলেন, ‘আমরা পুকুর খননসহ সামনের বাজেটে আরও ট্যাঙ্ক বসাবো’। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে আরও প্রায় দেড়শ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৫ হাজার পানি সংরক্ষণ ট্যাঙ্ক বসানো হবে। এই প্রকল্প চালু হলে আরও দুই লক্ষাধিক মানুষ সুপেয় পানির আওতায় আসবে।