আজ আদমদীঘির ঐতিহাসিক সোনারা ও শিববাটি মেলা

আজ ২৭ মে বাংলা সনের জৈষ্ঠ্য মাসের দ্বিতীয় রোববার বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় ঐতিহাসিক সোনারা এবং শিববাটি মেলা বসছে। প্রতি বছর এই দিনে পৃথক দুই স্থানে মেলা দুটি বসে থাকে। নশরতপুর ইউনিয়নের সাওইল ঘোড়াদহ গ্রামের একটি বড় পুকুরপাড়ে সোনারা এবং কুন্দগ্রাম ইউনিয়নের শিববাটি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বৃহৎ মেলা দুটি অনুষ্ঠিত হয়। মেলা দু’টিকে ঘিরে আদমদীঘি, দুপচাঁচিয়া, আক্কেলপুর, রানীনগর, কাহালু নন্দীগ্রাম উপজেলাসহ আশপাশের এলাকার বিভিন্ন গ্রামে ৬/ ৭দিন আগে থেকে সাজ সাজ রব পড়ে। মেয়ে, জামাইসহ দীর্ঘ দিনের পুরাতন আত্মীয় স্বজনদের দাওয়াতের মাধ্যমে নিয়ে আসা হয় বাড়ী বাড়ী। মেলায় আত্মীয় স্বজনদের আগমনে গ্রাম গুলোতে ধুম পড়ে যায়। ঐতিহাসিক ও প্রসিদ্ধ মেলা দুটি প্রায় ১শ ৬৪ বছর ধরে চিরাচরিত নিয়মে হয়ে আসছে বলে স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তিরা জানায়।
এই মেলা দুটিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার পুরুষ ও নারীদের সমাগম ঘটে। পান খাওয়া চুনের জন্য বিখ্যাত এই মেলায় নাগরদোলা, পুতুলনাচ, মিনি সার্কাস, বড়বড় মাছ, রসগোল¬া, মাংস, স্টিলের ও কাঠের আসবাবপত্র, হাতের চুরি ফিতাসহ প্রভূতি দ্রব্যের প্রচুর বেচাকেনার পাশাপাশি জুয়া খেলাও চলে থাকে। সরকারী ভাবে মেলার দু’টির ইজারা এক দিনের হলেও মুলতঃ মেলা চলে ৪/৫ দিন ধরে। দ্বিতীয় দিনে বউ মেলা অনুষ্টিত হয়। বউ মেলাতে বিপুল নারীর সমাগম ঘটে থাকে। মেলা’তে যাতায়াতের জন্য বিশেষ বাস, টেম্পু, রিক্সা, ভ্যানসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করে। মেলা অনুষ্ঠানের দিনের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে মূষলধারে বৃষ্টিপাতসহ ঝড় বয়ে যাওয়া। এই প্রথা দীর্ঘদিন ধরে চিরাচরিত প্রকৃতির খেয়ালেই হয়ে থাকে।
 

বিজ্ঞাপন