আদমদীঘিতে আ.লীগ নেতাসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার-৩

ছবি-প্রতিনিধি

বগুড়ার আদমদীঘিতে বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে আমিনুল ইসলাম (৪০)কে বাড়ি থেকে ডেকে ক্লাব ঘরে শালিসে টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দের জের ধরে ধারালো অস্ত্র চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যায় নিহতের বোন আফরোজা বেগম বাদি হয়ে আওয়ামীলীগ নেতা শাহিন. তহিদুলসহ ৩৭জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়াও  আরোও অজ্ঞাতনামা ১০জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে মামলায় তিন আসামীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো আদমদীঘির লক্ষীপুর গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে ইসলাম কবিরাজ (৪৫). তার ভাই আবু বক্কর ছিদ্দিক (৫৮) ও আফজাল হোসেনের ছেলে ওয়াহেদ আলী ওরফে ছেদ্দা (৪২)। 

শুক্রবার (২৪ মার্চ) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম জানায়, গ্রেপ্তারকৃত ৩জনকে জেলা হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। 
উল্লেখ্য- আদমদীঘির নসরতপুর ইউপির লক্ষীপুর গ্রামে শাহিন হোসেন ও তহিদুল ইসলাম বনাম ছেদ্দা ও আমিনুল ইসলাম নামের দুটি গ্রপ রয়েছে। তাদের মধ্যে মসজিদের টাকা, গভীর নলকুপ মালিকানা ও গ্রামের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রায় ১৫ বছর যাবত বিরোধ, মারধর ও মামলা পাল্টা মামলা রয়েছে। এনিয়ে ওই গ্রামে প্রায় মারধর হুমকি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা অহরহ ঘটে। গত বুধবার (২২ মার্চ) দিবাগত রাতে নসরতডপুর ইউপির ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সম্পাদক শাহিন হোসেন, তহিদুল ইসলাম ও তার লোকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে আমিনুল ইসলামকে মোবাইল ফোনে ডেকে গ্রামে শেখ রাসেল ক্লাবের সামনে বৈঠক শালিস বসে। এরপর শেখর নামের এক ব্যক্তির পারিবারিক ঘটনা ও তাদের মধ্যে টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ১০ টায় আমিনুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র চাপাতি দিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের বোন আফরোজা বেগম বাদি হয়ে এই হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম জানায়, এ মামলায় তিন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মুল আসামী শাহিন, তহিদুলসহ অপর আসামীদের গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে একাধিক টিম অভিযান চালাচ্ছেন। 
 

বিজ্ঞাপন