২৩ জন শিক্ষক কর্মচারির মধ্যে উপস্থিত ২ শিক্ষক ও ১ কর্মচারি

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ৫ নং মহদীপুর ইউনিয়নের ঠুটিয়াপাকুর আলহাজ্ব একরাম উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসায় দায়িত্বরত সুপার, শিক্ষক, কর্মচারীরাদের ইচ্ছামতো চলছে পরিচালিত হচ্ছে মাদ্রাসাটি। বিজ্ঞান ল্যাব না থাকার পরেও ল্যাব সহকারি নিয়োগ দেওয়াসহ এছাড়াও রয়েছে নিয়োগ বানিজ্য ও মাদ্রাসার জায়গায় বহুতল মার্কেট স্থাপন করে অর্ধ কোটি টাকার বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। ১৫ নভেম্বর বুধবার বেলা ১২ টার সময় মাদ্রাসার হাজিরা খাতায় সকল শিক্ষক কর্মচারি স্বাক্ষর করে গেছেন। মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক আব্দুল মান্নান মন্ডল ও আরিফুল ইসলাম দুটি ক্লাসে কয়েকজন শিক্ষার্থী বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহন করছেন। এসময় মাদ্রাসাটির নৈশ প্রহরী সবুজ মিয়া কে পাওয়া গেলেও অন্য কোন শিক্ষক কর্মচারীকে পাওয়া যায়নি। 
উপস্থিত শিক্ষক দুইজন ও কর্মচারি জানান,সকালে সবাই এসেছিলো কিছুক্ষণ আগে সুপার ও অন্যান্যরা চলে গেছে। আমরা দুই শিক্ষক বার্ষিক পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন করছি। 


এ বিষয়ে মাদ্রাসাটির সুপার আজাহারুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান,অসুস্থ্যতার কারণে মাদ্রাসা হতে বাড়ী চলে গেছেন। তিনি দাবী করেন অন্যান্য শিক্ষক কর্মচারিরা মাদ্রাসায় রয়েছে। তবে নিয়োগ বানিজ্য ও বহুতল মার্কেট নির্মাণের বিষয়ে কথা বলতে ফোনটি কেটে দেন মাদ্রাসা সুপার। মাদ্রাসাটির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সাথে যোগাযোগ করে না পাওয়ার তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।  এদিকে এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবিএম নকিবুল হাসান জানান, মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদের সভাপতিসহ অন্যান্যাদের কারণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে, যেহেতু তারা বেতন দেন তারা এটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন।  আমরাও দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।  
উল্লেখ্য, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে জোড়ালো ভাবে সংবাদ প্রকাশের পরেও মাদ্রাসাটির সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়া সচেতন মহল ও সর্বসাধারণ মানুষ মাঝে চলছে নানা জল্পনা ও কল্পনা। তদন্ত সাপেক্ষে মাদ্রাসাটির সুপারসহ জড়িত অন্যান্য শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

বিজ্ঞাপন