ধুনট প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের দু পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ অনন্ত ২০ জন আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ধুনট উপজেলার বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষ ঘটে। পরে পুলিশের ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এখনও উপজেলায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, শনিবার উপজেলার আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজাউদ্দৌলা রিপনকে মারধর করা নিয়ে দুই গ্রুপের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বেলা ১২ টার দিকে সেখান থেকে সংঘর্ষে রুপ নেয়। এ সময় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পাশাপাশি ইট পাটকেল ছোড়াছুড়িতে উপজেলা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
পরবর্তীতে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। এই ঘটনায় ৪ জন পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
আহত পুলিশ, এসআই প্রদীপ, মজিবর রহমান, কনেষ্টেবল মোজাজ্জল, সবুজ মিয়া। সংঘর্ষে সুজাউদ্দৌলা রিপন, শেখ মতিউর রহমানসহ উভয় পক্ষের ১৬ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন- উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ভিপি শেখ মতিউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজাউদৌলা রিপন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া খন্দকার, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ হারুন বাবু, চিকাশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাজেদুল ইসলাম সাগর, যুবলীগের সুজন, বলয় মন্ডল, ছাত্রলীগের রাজু সুলতান, রুবেল বাবু, আরিফ, নাসিম, হৃদয়, আকাশ এবং অপরপক্ষের ধুনট পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সুজন সাহা, আহবায়ক পৌর যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস ছাত্তার ও যুব শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীনুর আলম মিঠু।
সংঘর্ষের ঘটনা নিশ্চিত করে ধুনট থানার এসআই প্রদীপ কুমার বলেন, আওয়ামী লীগের দু পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। এ সময় ইটপাটকেল ছোঁড়াছুড়ি হচ্ছিল। পরে বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা রাবার বুলেট নিক্ষেপ করতে হয়েছে।
এসআই প্রদীপ জানান, এখন পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। এ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
উল্লেখ্য, ধুনট উপজেলায় স্থানীয় সাংসদ হাবিবুর রহমান এবং উপজেলায় আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুন্নবী তারিকের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব রয়েছে। সম্প্রতি পৌরসভা নির্বাচন কেন্দ্র করে সেই এই দু’পক্ষের মাঝে ক্ষোভ ও উত্তেজনা চলছিল।